প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩
জিয়াউল ইসলাম জিয়া (সীমান্ত ব্যুরো) সাতক্ষীরা: আন্তজার্তিক স্বর্ণ চোরাচালন সিন্ডিকেট নেটওয়ার্কের শীর্ষ চোরাচালানিরা সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের বৈধ রুট দিয়ে নির্বিঘেœ ভারতে পাচার করছে স্বর্ণের চালান। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে লুকিয়ে থাকা স্বর্ণ চোরাচালানিরা বিভিন্ন কৌশলে ভোমরা আন্তজার্তিক বৈধ রুট দিয়ে ভারতে পাচার করছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ সম্পদ। বুধবার (১২ এপ্রিল ২০২৩) সকালে বাংলাদেশ থেকে সুকৌশালে অভিনব কায়দায় স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা কাষ্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের একটি বিশেষ টিম ওৎ পেতে বসে থাকে কাস্টমস্ সংলগ্ন এলাকায়। অভিযুক্ত পাসপোর্ট যাত্রী কাস্টমস্ এলাকায় প্রবেশের পর নজরদারিতে রাখে কাস্টমস্ গোয়েন্দর বিশেষ টিম। সন্দেহভাজন পাসপোর্ট যাত্রী কাস্টমস্ এলাকা অতিক্রম করে ইমিগ্রেশনে প্রবেশকালে ওই পাসপোর্ট যাত্রীর গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাস্টমস্ গোয়েন্দার কর্মকর্তারা । জিজ্ঞাসাবদে তার নিকট বহনকৃত স্বর্ণের কথা অস্বীকার করায় তার দেহ তল্লাশীর পর তার ব্যাগেজ কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। এর পর যাত্রীর নিকট থেকে কিছু না পাওয়া গেলে পাসপোর্ট যাত্রীকে সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাবে নিয়ে এক্স-রে করার পর তার পায়ূপথে স্বর্ণের অস্থিত্ব পায় কাস্টমস্ গোয়েন্দার কর্মকর্তারা। আটককৃত যাত্রীর পায়ূপথ থেকে ৩ টি স্বর্ণবার লাল রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আটককৃত পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকার মুন্সীগঞ্জ জেলার কপিবাগ গ্রামের আব্দুল সাত্তার শেখের পুত্র মোহাম্মদ নাফিজ শেখ (২৯), যার পাসপোর্ট নং- ঊএ০৫৫৪১০৯। আসামীর নিকট থেকে উদ্ধার হওয়া ৩ টি স্বর্ণবার আটকসহ পাসপোর্ট বহি ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেন গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এরপর আটবকৃত স্বর্ণবার সাতক্ষীরা সাধনা জুয়েলার্স কতৃক পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। যার ওজন ৩শ ৪৮ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮ আট শত ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে কাস্টমস্র্ কর্তৃপক্ষ। ভোমরা কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা সেলিম চৌধুরী জানান, ধৃত আসামী মোহাম্মদ নাফিজ শেখ অভিনব কায়দায় অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আদায় যোগ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারা ২৫ (বি) এর ১ (এ) ধারায় অপরাধ করেছে। এ ব্যাপারে ভোমরা কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের পর ধৃত নাফিজ শেখকে সোপর্দ করেন।