৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ৮:৪৯

শিরোনাম
খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয় কেন্দ্র

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় ঘন মেঘ ও থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের ১৯ টি জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় খুলনার উপকূলজুড়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবারও প্রস্তুত রয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবারের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।’

খুলনা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন,‘সাগরে রাতে সিত্রাং নামের ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। তবে খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় এখনি এর প্রভাব শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর সকালে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে সোমবার রাতে ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে।’

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে জেলার ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দাকোপে ১১৮টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, কয়রায় ১১৭টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, পাইকগাছায় ৩২টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি ও দিঘলিয়ায় ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে খুলনার কয়রা ও পাইকগাছা; সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় খুলনা জেলার দাকোপে ৬৫ জন মারা যান। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন