প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
প্রকাশিত:
সীমান্ত ব্যুরো, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের দু’টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার ও ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে ভোমরা বন্দরে কর্মবিরতি রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল প্রকার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম স্থগিত রেখে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে উত্তাল আন্দোলনে নেমে পড়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। অঘোষিত কমিটির সদস্যরা অবৈধভাবে শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিতে এলে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠে এবং তাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তারা পিছু হটে। এ দু’টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের বৈধ সাধারন শ্রমিকদের দাবী রুখে দিতে রুখে দাঁড়ায় অবৈধ কমিটির দূর্ধর্ষ ক্যাডাররা। ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের আন্দোলন থমকে দিতে এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে চলে আসে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। পুলিশ প্রশাসন ভোমরা কাষ্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং অঘোষিত কমিটির সদস্যসহ বর্তমান কমিটির শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার গোপন বৈঠক চালায়। বৈঠক চলাকালে সাংবাদিকদের গোপন আলোচ্য বিষয়টি না জানিয়ে তাদেরকে বাইরে অবস্থান নিতে বলে পুলিশ প্রশাসন। প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ রুদ্ধদ্বার গোপন আলোচনা চললেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। এ ব্যাপারে ১১৫৫ নিবন্ধিত হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের ক্রীড়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও ১১৫৯ এর সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১১৫৫ নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনারুল ইসলাম গাজী ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ আলম এবং ১১৫৯ নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এরশাদ আলী ও সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে এমন খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয় ঘেরাও করে উত্তাল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় শ্রমিকরা আটকে থাকা শ্রমিক নেতাদের পুলিশের নিকট থেকে উদ্ধারকালে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। কিন্তু পুলিশের গুলি ছোঁড়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আরো উত্তাল হয়ে ওঠে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন গুলিবর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার লক্ষ্যে সদর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক হারুন উর রশীদ এবং জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সাইফুল করিম (সাবু) ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবী দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে বকেয়া শ্রমিক মজুরি প্রদান এবং চলতি মাসের মধ্যে সাধারন সভা দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন সদর সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দের আশ্বাসের পর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে পণ্য লোড আনলোড কাজে যোগ দেয়।
এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া