প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১
খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সিডিউল বিক্রি, খেয়াঘাট ইজারা এবং ভ্রমণভাতার নামে অর্থ আত্মসাতের টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা হয়।
পরোয়ানায় উল্লেখ আছে, সার্টিফিকেট মামলার দাবিকৃত ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা পাওনা রয়েছে। সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে গত ২০ জুনের মধ্যে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির নানা কাজের সিডিউল বিক্রি বাবদ ২৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৮০ টাকা, ভ্রমণ ভাতা বাবদ এক লাখ ৮৩ হাজার ৫০৮, খেয়াঘাটের খাস আদায় বাবদ ২১ লাখ ৩২ হাজার ১২০ টাকাসহ সর্বমোট ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে আসামি মিজান ১৩ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জেলা পরিষদের তহবিলে জমা দিয়েছেন।
জেলা পরিষদ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. জুলিয়া মঈন জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজানের কাছে থেকে আত্মসাৎ করা টাকা জরুরিভাবে আদায় এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. আছাদুজ্জামান এক পত্রের মাধ্যমে মিজানের কাছে পাওনা অবশিষ্ট ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আদায়ের জন্য জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতে পিডিআর অ্যাক্ট-১৯১৩ অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের পরে ২৯ মার্চ মামলাটি আদালত আমলে নেন। এরপর জেলা প্রশাসনের জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার গত ১০ জুন মিজানকে একটি নোটিশের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অবশিষ্ট ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা গত ২০ জুনের মধ্যে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দেওয়ার নোটিশ করেন। কিন্তু মিজান কোনো টাকা জমা না দেওয়ায় পরোয়ানা জারি হয়।
খুলনা সদর থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন যুগান্তরকে বুধবার বিকালে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে পরোয়ানা আমার হাতে আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।