প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২১
বিনোদন প্রতিবেদক: গল্পটা আমাদের নয়। এমন এক রাত কখনো কারোও জীবনেই স্বপ্নেও যেন না আসে। তবুও মানুষ যখন সময়ের কাছে হার মানে..! কি করবে সে তখন? জানতে হলে দেখতে হবে ‘সে এক স্বপ্নের রাত’। দৃষ্টিপাত নাট্যদলের ২৫ তম ও নতুন প্রযোজনা এটি। রচনা ও নির্দেশনা দিচ্ছেন ড.খন্দকার তাজমি নূর। সার্বিক তত্বাবধান করছেন দৃষ্টিপাত নাট্যদল প্রধান আব্দুল হালিম আজিজ। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ড.খন্দকার তাজমি নূর, আব্দুল হালিম আজিজ, অধরা প্রিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান বাচ্চু ও এসএম শাফায়েত। ‘তিন পুরুষের মাথায়’, ‘হানাদার’, ‘রূপবতী কইন্যা’, ‘রাজা হিমাদ্রি’, ‘জ্বালা’, ‘বুড়ো ভুতের গপ্পো’ নাটকসহ একাধিক পথ নাটক ও বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। গেল বছরের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে পা দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মঞ্চে ফেরার আগাম বার্তা জানান দিয়েছিল তারা। এবার তাদের প্রযোজনার তালিকায় স্থান পেল ‘সে এক স্বপ্নের রাত’।
নাটকটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ড. খন্দকার তাজমি নূর বলেন, ‘আশা করছি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দর্শকদের উপহার দিতে পারবো, আমার নতুন এই গবেষণা ধর্মী নাটকটি। একটি রাতের এক মানবিক জীবনের গল্প, যা আমার অথবা অন্য অনেকের জীবনে আসতে পারে, অথচ যেটা আকাঙ্ক্ষার নয়।
নির্দেশকের ভাষায়, আমার ও তোমার মাঝে যে তৃতীয় একটা অধ্যায় আছে সেটাকেই হয়তো জীবন বলে জানি। যেখানে আমার নিঃশ্বাসটাই ছিল আমার পরম শত্রু..! কেননা ওই নিঃশ্বাসেই বুঝেছিলাম তোমার আমার সম্পর্কের গভীরতা। তাই প্রতিদিন কফির মগের প্রতিটা চুমুকই একসময় জানতে পেরেছিল অনুভূতিগুলো কতটা তীব্র থেকে তীব্রতর মলিন হতে পারে। যা আজ একটা ঘূর্ণিপাকের মতো মনে হয়। এক ভাবনা থেকে অন্য ভাবনায় আটকে যাই প্রতিদিন মাকড়শার জালের মতো। চাওয়া-পাওয়ার পরিমাণটা কম অথবা খুব বেশি হলে বোধহয় জীবনের অনুভূতি গুলোও এমন হয়। কিংবা যতটা সাধারণ চাওয়া তার প্রাপ্তি ঠিক ততটাই কঠিন সেটা মানুষ কখনও বুঝে আবার কখনও বুঝে উঠতে পারে না।
যদি সবটাই বাদ দিই তবে হঠাৎ করে এই যে কখনও কখনও দমবন্ধ হয়ে আসা এটা তাহলে কী..? কেউ কি বলতে পারে এটা শুধু না পাওয়ার কষ্ট। কবির কাছে পৃথিবীর এপার-ওপার এক হয়ে গেছে সেই কবে, যেদিন হেরে যাওয়ার এক মিনিটের বিরাট গল্প তৈরি হয়েছিল তার জীবনে। আগে ছিল দ্বিতীয় শক্তির প্রভাবে বাঁচা আর এখন একক শক্তিতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। অতঃপর পাল্টে যায় জীবনের তৈরি সমস্ত ব্যাকরণ। তাই হয়তো একা একা কফি মগে নিজেকে মগ্ন রাখতেই ভাল লাগে জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে..!
বিরহের বাতাসে যে মগ্নতা সে তো অন্য কিছুতে নেই, যে তাতে নেশার মতো সারাদিন ডুবে থাকা যায়। এই উপলব্ধিটা আগে হলে হয়তো নিঃশব্দে বিসর্জন দেয়া সময়গুলো জীবন শ্রোতের বিপরীত হতো না..! তাহলে একের সঙ্গে দুই বা আমার সঙ্গে তোমার না হয় তর্জনীর সঙ্গে অনামিকার যে ব্যাবধান সেটাই হয়তো জীবন।