২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৮:১৮

সু চির চার বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১

  • শেয়ার করুন

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ‘গণ অসন্তোষে উসকানি’ আর ‘কোভিডবিধি ভাঙার’ অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে।

সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম মামলায় দুই অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

সোমবার মিয়ানমারের একটি আদালত এ রায় দেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়।

সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যতম নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টকেও একই অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল, তাকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেদিনই সু চি ও তার দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সু চিকে তখন থেকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুরু থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আসছে।

সোমবারের রায়ের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনারের আঞ্চলিক উপ পরিচালক মিং উ হাহ এক বিবৃতিতে বলেন, “বিরোধীদের নির্মূল করে মিয়ানমারের কণ্ঠরোধ করার জন্য সামরিক বাহিনী কী করতে পারে, ভুয়া অভিযোগে সু চিকে এরকম শাস্তি দেওয়া হল তার সর্বশেষ নমুনা।”

বিবিসি লিখেছে, ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে মামলার বিচারে আদালতে হাজির করা হয়েছে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য শোনার সুযোগ কমই হয়েছে।

অভ্যুত্থানবিরোধীদের গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় ঐক্য সরকারের’ একজন মুখপাত্র ডা. সাসা বিবিসিকে বলেছেন, সু চি খুব ভালো অবস্থায় নেই।

“মিলিটারি জেনারেলরা তাকে ১০৪ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।তারা চায়, কারাগারেই তার মৃত্যু হোক।”

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন