২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ৩:৪১

সুন্দরবনে কত গাছ আছে, তা জানতে জরিপ শুরু

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

আবুল হাসান, মোংলা : বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পরিমাণ নির্ণয়ে শুরু হয়েছে জরিপ। বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (১৯মার্চ) থেকে শুরু হওয়া এই গাছ জরিপের কাজ। এ কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবে বনবিভাগ।
সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬হাজার ১৭বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪হাজার ১৪২দশমিক ৬বর্গ কিলোমিটারের স্থলভাগে কত প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।

বনবিভাগের তথ্য মতে ১৯০৩ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫প্রজাতির শৈবাল ও ১৩প্রজাতির অর্কিড ছিলো। ১৯৮৫সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্যা কমে তা দাঁড়ায় ৬৬প্রজাতিতে।

১৯৯৭সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮প্রজাতির উদ্ভিদ ছিলো। এরপর ২০১৪-১৫ইং সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়ায় ১৮৪টিতে। এরমধ্যে ৫৪প্রজাতির গাছ, ২৮প্রজাতির লতাপাতা, ১৩প্রজাতির গাছড়া, ২২প্রজাতির গুল্ম, ১৩প্রজাতির ফার্ণ, ১২প্রজাতির অর্কিড, ৩প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২প্রজাতির পাম, ২৮প্রজাতির ঘাষ ও ৯প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে।

বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র সুন্দরবনের স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই বনভূমির গাছ জরিপের কাজ। বনবিভাগের বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জরিপ কাজ শেষ করবে। তখনই জানা সম্বব হবে এখন সুন্দরবনে কতো প্রজাতির ও কোন কোন প্রজাতির কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন