প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২
দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকরা যেকোনো সরকারি-বেসরকারি অফিসে যেতে পারবে। একইসঙ্গে কোনো সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশ করতে বাধ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, সাংবাদিকরা যেকোনো দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করতে পারবে। সাংবিধানিকভাবে তাদের সেই অধিকার থাকবে। জাতিসংঘের কনভেনশনেও এটা বলা আছে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, সাংবাদিকের সংবাদ লেখার তথ্যের উৎস কী, সেটি জানতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তবে হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়ে সতর্ক থাকার বিষয়ে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাংবাদিকের কোনো সংবাদের বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতের আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারবেন বলেও রায়ে বলা হয়েছে।
২০২১ সালের ২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে জারি করা রুলের পূর্নাঙ্গ রায়ে এমন কথা বলেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক ওই রিট দায়ের করেছিল।
গেল জুন মাসে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বিত বেঞ্চ রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
ওই রায়ের ৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রবিবার প্রকাশ করা হয় বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের মতামত হলো, সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা সাংবিধানিকভাবে এবং আইনত দুর্নীতি এবং দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন।’