২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ১১:৫৭

শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে উত্তাল খুলনা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ উত্তাল হয়ে উঠে খুলনা। এদিন তারা দোয়ার আয়োজন করে।

বিকেলে খুলনার শিববাড়ি মোড়ের শহীদ মুগ্ধ চত্বরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বিএল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

ক্যাম্পাস থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা তারাশিববাড়ি মোড়ে এসে অবস্থান করেন। পরে একে একে গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যার কারণে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গণহত্যার দায়ে ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি দাবি করা হয়েছে।

ছাত্রনেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে পুনর্বাসনের যেকোনো চক্রান্ত ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনসহ বিগত ১৫ বছরে দেশে নির্বিচারে গুম, খুনের বিচার করতে হবে। এখনো যারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে আছেন তাদের চিহ্নিত করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে। জুলুমের বিচার এবং রাষ্ট্রসংষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা রাজপথ ছেড়ে যাবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে খুনি শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবি জানাতে আমরা আজ আবারো রাজপথে নেমেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম চলবেই অবিরাম।

এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, স্বৈরাচারীর ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো—ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন, তাদের অপসারণ ও নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এত দিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন