২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৯:৪৩

শিরোনাম

শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থানে ২৯ দিনে ১৫ কেজি ৯১৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার, আটক-৯।

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২

  • শেয়ার করুন

 

মিলন হোসেন বেনাপোল থেকে।
বিজিবির কঠোর অবস্থানে যশোরের শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে একের পর এক ধরা পড়ছে সোনার বার। সেই সাথে আটক করা হচ্ছে পাচারকারীদেরকেও। বিজিবির শক্ত অবস্থানে গত ২৯ দিনে শার্শা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ কেজি ৯১৫ গ্রাম সোনা। আর আটক করা হয়েছে ৯ পাচারকারী।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে
শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত থেকে ৯ পিচ সোনার বার (২ কেজি ৩শ’ ৩৩ গ্রাম ওজনের) ও একটি মোটরসাইকেলসহ উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের মিয়ারাজ আলীর ছেলে শুকুর আলীকে (৪৫) আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (২১ বিজিবি) সদস্যরা।

যার মুল্য আনুমানিক ১ কোটি
৭০ লক্ষ টাকা বলে জানায় বিজিবি।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধীনস্থ পুটখালী বিওপি’র একটি টহল দল বেনাপোল সীমান্তের ইছাপুর খালপাড় জামে মসজিদ এলাকা থেকে ১.১৬৬ কেজি (১০০ ভরি) ওজনের ১০ পিস স্বর্ণের বার ও ১টি মোটরসাইকেলসহ খলসী গ্রামের রমজান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৯) ও একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আক্তারুল ইসলামকে (২৫) আটক করে।

যার আনুমানিক সিজার মূল্য- ৮৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা বাজার এলাকা থেকে
৩০ পিচ (৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম ওজনের, ৩০১ ভরি) স্বর্ণের বারসহ বালুন্ডা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আশিকুর রহমানকে (৩২) আটক করে বিজিবি-২১ সদস্যরা।

যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী-বালুন্ডা সড়ক এলাকা
সীমান্ত থেকে ২০টি স্বর্ণের (ওজন ২ কেজি ৩৩৩ গ্রাম) বারসহ কাগজপুকুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেনকে (২৫) বিজিবি-২১ সদস্যরা।

যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় গোগা বাজারের উত্তর পাশে একটি ইট ভাটার কাছে পাকা রাস্তার উপর থেকে ১৫ পিচ স্বর্ণের বার (১ কেজি ৬৫২ গ্রাম) ও একটি মোটরসাইকেল সহ পুটখালী গ্রামের আলী কদমের ছেলে জালাল উদ্দিনকে (৩৫) বিজিবি-২১ সদস্যরা।

বাজার মূল্য ১ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রুদ্রপুর সীমান্তের আজগর আলীর আমবাগান থেকে ভারতে পাচারের সময় ১০ পিস (১.২৩৩ কেজি) স্বর্ণের বার সহ শার্শার গোগা গ্রামের মৃতঃ কালাম হোসেনের ছেলে
সাকিবকে (১৯) বিজিবি-২১ সদস্যরা।

বাজার মুল্য ৮৯,৪৬,৪৫০ টাকা।

মঙ্গলবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত এলাকা থেকে
প্রাইভেটকারে করে বড় আকারের ১ পিচ স্বর্ণের বারসহ (১ কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের)
পাচারের সময় বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের ইসমাইল সর্দারের ছেলে আঁশা (২৮) ও নামাজ গ্রামের মৃতঃ কালাম হোসেনের ছেলে সোহানুর রহমান বিশালকে (২৭) আটক করে বিজিবি-২১ সদস্যরা।

যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। মঙ্গলবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার মালিপুতা গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৮ পিচ স্বর্ণের বার (২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের) ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে বিজিবি-৪৯ সদস্যরা।

যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তের বিজিবির কঠোর অবস্থান ও নজরদারি রয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাতে একটি সোনার বারও যেন, দেশের বাইরে পাচার না হয়, সেদিকে কঠোর নজর রাখছে বিজিবি সদস্যরা। দেশের সোনা, দেশেই থাকবে। সোনা থাকবে আমাদের মা-বোনদের গলায়। তা আমরা দেশের বাইরে কখনও যেতে দেবো না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার্থে এমন ভাবে ডিউটি করে যে, তারা ঈদের ছুটিতেও ছুটি পান না। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দও পর্যন্ত ভাগাভাগি করতে পারেন না। সীমান্তে পাচার রোধে বিজিবি সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেও তিনি জানান।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি জানান, সোনা পাচারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও আস্তে আস্তে তাদের চালানগুলো আটক করে তাদের সর্বশান্ত করে দিবো। তাদের আইনের আওতায় এনে স্বর্ণ চোরাচালান সীমান্ত থেকে নির্মুল করে দিবো।

তিনি আরও বলেন, সোনা পাচার রোধকল্পে সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে। স্বর্ণের চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সর্বাত্বক প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ০৬/১০ /২০২২
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন