২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ১১:১৪

রূপসা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বীর ‍মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন ও বীরবিক্রম মহিববুল্লাহ’র ৫২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রূপসা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ক্লাব মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ৮ দলীয় ব্যাডমিন্টন উদ্বোধন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আজকের তথ্য পত্রিকার সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম।

আলোকিত অতিথি ছিলেন রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী। সন্মানিত অতিথি ছিলেন রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান আহম্মেদ মোল্লা, নিউজ টুয়েন্টি ফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের খুলনা ব্যুরো প্রধান মোঃ সামছুজ্জামান শাহিন।

রূপসা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জিল শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হরশিত বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ হালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হানিফ মোল্লা, ইউপি সদস্য লিপিকা রাণী দাস, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ার টিকার আব্দুস সালাম, কর্ণপুর যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী রাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোম নাথ ধর, রূপসা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খান আঃ জব্বার শিবলী, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের, সাবেক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বিষু, সাইফুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ডালিম, খান মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি অলিদ শেখ, সদস্য আল মাহমুদ প্রিন্স, হামিদুল হক, আবু হারুনার রশিদ, আক্তার খান, চিত্ত রঞ্জন সেন, শাহরিয়ার হোসেন মানিক, বিএম শহিদুল ইসলাম, নাইমুজ্জামান শরিফ, রেজাউল ইসলাম তুরান প্রমুখ।
দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের ব্যাডমিন্টন টুনামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
পরে রূপসা প্রেসক্লাবের আয়োজনে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আজকের তথ্য’র সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে ১০ ডি‌সেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে খুলনাকে শত্রুমুক্ত করার অঙ্গিকার নিয়ে রণতরী পলাশ, পদ্মা ও গানবোট পানভেল নিয়ে যাত্রাকালে শিপইয়ার্ডের অদুরে বিমানের নিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষনে ‘পলাশে’ থাকা স্বাধীন বাংলার এ দুই সূর্যসন্তানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে সমাহিত করে।
১৯৯৭ সালে রূপসার সাংবাদিক সমাজ এ দুই শহিদ বীরের সমাধী মাজারে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপসা প্রেসক্লাব ওই দুই বীরের স্মরণে অনুণ্ঠান করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় রূপসা প্রেসক্লাব এবছরও এ দুই বীরের স্মরণে দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আ‌য়োজন করে।
প্রসঙ্গত, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বাঘচাঁপড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আজহার পাটোয়ারী ও মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন তিনি।
অপরদিকে বীরবিক্রম মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ১৯৪৪ সালের ৩১ আগস্ট চাঁদপুরের শাহেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. সুজাত আলী ও মায়ের নাম রফিকাতুন্নেছা। তিনি ১৯৬২ সালে নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একই সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। দেশ স্বাধীনের পর রুহুল আমীনকে বীরশ্রেষ্ঠ ও মহিবুল্লাহকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন