৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সন্ধ্যা ৬:৪৯

মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথমবারের মত অর্থোপেডিক সফল অপারেশন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

মোংলা প্রতিনিধি : উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত সিজার, হার্নিয়া ও অ্যাপেনডিসাইট ছাড়া বড় ধরনের অপারেশন হয়না বললেই চলে। অনেক সময় তাও আবার এই অপারেশন করতে অনেককে যেতে হয় খুলনার বড় ডাক্তারের কাছে। সেখানে অর্থোপেডিক্সেরমত (অস্ত্রোপাচার সম্পর্কিত চিকিৎসা) বড় অপারেশনতো ভাবাই যায়না। তবে সেটা ডাঃ শাহীনের সাহসী উদ্যোগে করে দেখিয়েছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তাও আবার বিনা খরচে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নয় বছরের এক শিশুর সফল এই অপারেশন করা হয়।

মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড এলাকার নুর আলমের নয় বছরের এই শিশুর নাম মোঃ জিহাদ। তারই সফল অস্ত্রোপাচার সম্পর্কিত চিকিৎসা করা হয়।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহীন জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে নয় বছরের এই শিশু জিহাদের পায়ের হাড় ভেঙে গেলে, তার বাবা তার কাছে নিয়ে আসে। শিশুটি হতদরিদ্র পরিবারের। তাকে প্রথমে প্লাস্টার করা হয়। সাতদিন পর ফলোআপে আসলে দেখা যায়, আবারও শিশুটির ডিসপ্লেস হয়ে গেছে।

পরে তিনি অসহায় এই শিশুর জন্য কিছু একটা করতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন বন্ধু ডা. রাজিব কুমার পালের সাথে আলাপ করেন। তার বন্ধু তাকে সে সময় জানায় অপারেশনের জিনিস পত্র ম্যানেজ করে দিলে, সে তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে বিনা পারিশ্রমিকে অপারেশন শিশু জিহাদের করে দিবে। তাৎক্ষণিক সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলেন ডাঃ শাহীন।

এরপর শুক্রবার দুপুরে তার বন্ধু ডাঃ রাজিব কুমার পালের নেতৃত্বে সেই শিশুটির সফল অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। এ কাজে হাসপাতালের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ডাঃ শাহীন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ডাঃ শাহীন বলেন, চিকিৎসা দান দেখে মনে হতে পারে, খুব সহজ একটি কাজ। এটি যে কেউই করতে পারে, তবে এটা মোটেও সহজ কাজ নয়। প্রকৃত ডাক্তার একজন রোগীর দায়িত্ব নেন, কিন্তু সাধারণ ডাক্তার কখনই একটা রোগীর দায়িত্ব নেন না। ডাক্তার একটা রোগীর শেষ পর্যন্ত দেখেন যে, রোগটা কোন পর্যায়ে যাচ্ছে, ভাল হলেও তিনি শেখেন, খারাপ হলেও শেখেন। সেই উপলব্ধি থেকেই বড় এই অপারেশনের শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তিনি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন