৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,বিকাল ৫:৪৫

শিরোনাম
খুলনায় ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পূনঃ সবুজায়ন কার্যক্রম উদযাপন এবং সমন্বিত সবুজ বিদ্যালয় ঘোষণা অনুষ্ঠিত মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম

মারা গেলেন হেঁটে হজে যাওয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১

  • শেয়ার করুন

হেঁটে হজ পালনকারী দিনাজপুরের আলোচিত হাজি মহিউদ্দিন মারা গেছেন। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার দক্ষিণ কোতোয়ালি রামসাগর এলাকায় মেয়ের বাড়িতে ইন্তেকাল করেন তিনি।

তার বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর। ​মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে, নাতী-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন

হাজী মহিউদ্দিন দিনাজপুর সদর উপজেলার রামসাগর দিঘীপাড়া গ্রামের মৃত ইজার পন্ডিত ও মমিরন নেছার ছেলে। তিনি রামসাগর জাতীয় উদ্যানের বায়তুল আকসা জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ছিলেন।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বাদ জোহর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের বাইতুল আকসা মসজিদের সামনে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে রামসাগর দীঘি পাড়ে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযা ও দাফন কার্যে জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।

হাজি মহিউদ্দিন ১৯০৬ সালে ১০ আগস্ট দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯ নম্বর আস্কপুর ইউনিয়নের রামসাগর দিঘিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম ইজার উদ্দিন।

সেই সময় তার কাছে হজ করার মতো আর্থিক সার্মথ্য ছিল না। অদম্য ইচ্ছা নিয়ে আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হেঁটেই হজ করতে যান তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “বাসা থেকে প্রথমে ঢাকায় যাই, তারপর পতেঙ্গা পৌঁছাই। পতেঙ্গা থেকে জাহাজে সিংহল (শ্রীলংকা) হয়ে পাকিস্তান যাই। এরপর একে একে আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, জর্ডান, মিশর, কুয়েত হয়ে সৌদি আরব পৌঁছাই। সেখানে মক্কা হয়ে সর্বশেষে দেখা পেলাম মদিনার। মদিনায় পৌঁছে তিনমাস খাদেমের পদধূলি নিয়েছি। খাদেমের নাম ছিল ইসমাইল। ”
তিনি আরও বলেছিলেন, “সবাই বিমানে না যেয়ে হেঁটে হজ করলে বহুদেশ দেখতে পারবেন। ইরাক, ইরানে চলে গাঁধার হাল। এই হালিদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে পারবেন। তাদের পদধূলি নিতে পারবেন। এতে আশা করি বহু নেকি পাওয়া যাবে। ধান চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যায়, বিষয়টি ঠিক তেমনি। জমি না চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনই হজ চাষ না করলে নেকি পাওয়া সম্ভব না। ”

পায়ে হেঁটে হজ করতে যেতে-আসতে তার সময় লেগেছিল ১৮ মাস। এ ১৮ মাসে তিনি পাড়ি দেন কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ।

এ সময়ে তিনি সফর করেন ৩০টি দেশ। যে দেশগেুলো তিনি সফর করেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুখস্ত বলতে পারতেন সেসব দেশের নাম। ওই সময়ে হজে যেতে পাসপোর্ট ও ভিসা করতে তার খরচ হয় ১২০০ টাকা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন