প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১
সীমান্ত ব্যুরো: ভোমরায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতি ১০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও কেউ ৪ কেজি, কেউ ৫ কেজি আবার কেউ ৬ কেজি, আবার কেউ ৭-৮ কেজিও পেয়েছেন। এমনটায় জানিয়েছেন ভোমরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
যদিও ইউপি চেয়ারম্যান এধরনের অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন।
ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভোমরা ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৫৫০ কেজি(৩৭১ বস্তা) চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যাহা ইউনিয়নের ১৮৫৫ জনের মধ্যে মাথাপিছু ১০ কেজি হারে বিতরণ করা হয়। ১৮ জুলাই ও ১৯ জুলাই পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে এ চাউল বিতরণ করা হয়। এদিকে অধিকাংশই পেয়েছেন ৪ কেজি, ৫ কেজি ও ৬ কেজি হারে এমনটা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খবর নিয়ে জানা গেছে ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে হাড়দ্দহা গ্রামের শরিফুল ইসলামের পুত্র আলাউদ্দিন পেয়েছেন ৫ কেজি,২নং ওয়ার্ডের পদ্ম শাখরা গ্রামের মাজেদ মোড়লের পুত্র আসাদুল ইসলাম জানায়, সে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে চাউল পেয়েছেন আনুমানিক ৪ কেজি, ৪নং ওয়ার্ডের লালচাঁদ গাজীর পুত্র আবুুল কাশেম পেয়েছেন ৪ কেজি। ৫নং ওয়ার্ডের নবাতকাটি গ্রামের মারুফ শেখের স্ত্রী শাকিলা পেয়েছেন ৬ কেজি। এছাড়া হাবিবুর, আসলাম ও শরিফুল ৩ জনে পেয়েছেন ২০ কেজি চাউল। চৌবাড়িয়া ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছকিনা খাতুন জানান, তিনি ১৮ জুলাই ৬ কেজি চাউল পেয়েছেন। নবাতকাটি ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী সালেহা খাতুন জানায়, সে ১৮ জুলাই ৫ কেজি ৫০০ গ্রাম চাউল পেয়েছে।
এ বিষয়ে ভোমরা ইউপি চেয়রাম্যান ইসরাঈল গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপর বিতরণ কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। এক মুষ্টি চাউলও কোন ইউপি সদস্যদের বাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। তবে কার্ডধারীদের বিতরনের পর কিছু বাদ পড়া মানুষের মধ্যে অবশিষ্ট চাউল ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
১৯.০৯.২০২১