প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩
মিলন হোসেন বেনাপোল,
বেনাপোলের ওপর ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পাসপোর্টযাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ এর হয়রানি এবং খামখেয়ালী পনা ও ধীর গতির জন্য এরকম হচ্ছে বলে ভুক্ত ভোগি একাধিক পাসপোর্ট যাত্রীদের অভিযোগ।
শনিবার সরেজমিনে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও ভারত বাংলাদেশ এর নোম্যান্সল্যান্ডে যেয়ে দেখা যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশ এর অপোয় কয়েকশত পাসপোর্ট যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। ওই যাত্রিদের মধ্যে রয়েছে শিশু , বয়স্ক এবং রোগি। অনেকে চিকিৎসার জন্য আবার চেন্নাই, ভেলোর, ব্যাঙ্গলারু বিমান এর টিকিট আগে থেকে কেটে রেখে এই পেট্রাপোল বন্দরে বিলম্বের কারনে গন্তব্য পৌছাতে পারছে না। ফলে বিমান ট্রেনের টিকিট এর টাকা তাদের গচ্চা যাচ্ছে।
ঢাকার পাসপোর্ট যাত্রী মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিন ( পাসপোর্ট নং বি ওয়াই ০৭৪৪৮৬৫) বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতে থেকে ফেরার পথে এ প্রতিবেদককে বলেন, রাত তিনটার সময় বেনাপোল বর্ডারে আসি। এরপর বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সকাল সাড়ে ৬ টার সময় খোলার পর এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সে সকাল ৭ টার সময়। তারপর ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশন ভবনে ঢোকার সময় দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে। সকাল ৭ টার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ করে ভারতে প্রবেশ করতে হয় বেলা ১০ টার সময়। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ এর ধীর গতির কারনে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান।
খুলানার পাসপোর্ট যাত্রী আরিফুর রহমান ( পাসপোর্ট নং এ ০১৮৩৪৮৬৬) বলেন আমি সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল পৌছে ১০ টার সময় ব্যাংক ট্যাক্স সহ ইমিগেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করি। এরপর আমি সহ শত শত যাত্রীর ভোগান্তির আর শেষ নেই। ভারতের ইমিগ্রেশনের হয়রানি দীর্ঘ সময় পেন যাত্রীদের একাধিক প্রশ্নের কারনে দেরী হয়। বেলা ১ টার সময় দীর্ঘ লাইন থেকে প্রবেশ করি ভারতে। ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যেয়ে পড়ি বিপাকে। তারা একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত করতে থাকে। এমনিতে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে কান্ত । তারপর এভাবে প্রশ্ন করে হয়রানি করতে থাকে।
এভাবে ভারত ফেরত একাধিক যাত্রী পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এর বিরুদ্ধে বিম্বল হওয়ার অভিযোগ করে। এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যেয়ে দেখা গেছে সেখানে কোন ভীড় নেই। তবে ইমিগ্রেশনের বাইরে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এর সীল মেরে তারা ভারতে যাওয়ার অপোয়। ওদিকে নোম্যান্স ল্যান্ডে ভীড় জমাতে না দিয়ে ভারত প্রবেশের দ্বার বন্ধ করে দেওয়ায় জটলার সৃষ্টি হয় কাস্টমস বাউন্ডারির ভিতরে।
শত শত যাত্রীর অভিযোগ তারা বাংলাদেশের কাজ করে ভারতে প্রবেশ করতে হিম শিম খাচ্ছে। প্রায় তিন ঘন্টা এভাবে দাঁড়িয়ে থেকেও কোন সুরাহ হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশ যখন একজন যাত্রীর সীল করছে তখন ওই যাত্রীর সীল ভারত ও যদি যথাসময়ে করে তাহলে এ ভাবে যাত্রীদের জট বাধে না। সবচেয়ে বেশী অভিযোগ যারা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে ভারতে। তারা দাঁড়িয়ে থেকে কান্ত হয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি আহসান হাবিব বলেন, এটা ওপারের পেট্রাপোল বন্দরের ইমিগ্রেশন এর খামখেয়ালী পনা। বার বার তাদের বোঝাতেও আমরা চেষ্টা করেছি।
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ১১/০৩/২০২৩
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩