প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২২
শ্রীলঙ্কায় বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চলা বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে টিকতে না পেরে এবার বাসভবন ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেডিসেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে।
বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
শনিবার তিনি তার বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যান। সামরিকবাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
এর আগে টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে সকাল থেকে বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে থাকে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীর সেনা পাহাড়া ভেঙে বাসভনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের দমাতে সৈন্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে কলম্বো এবং আরও কয়েকটি শহরে কারফিউ বলবৎ থাকবে। কারফিউ জারি থাকা এলাকাগুলোতে মানুষজনকে ঘরে থাকতে হবে। কারফিউ ভঙ্গ করাকে সরকারি নির্দেশ অমান্য বলে গণ্য করা হবে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঋণ করে চলতে হচ্ছে দেশটিকে। এর মধ্যে কলম্বো বেশিরভাগই ঋণ পেয়েছে চীনের কাছ থেকে। ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বহুদিন আগে থেকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। যাকে ঋণ-ফাঁদ বলে সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমারা। তবে কলম্বোর সংকট গভীর হতে থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে চীন। চীনা ও আন্তর্জাতিক ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা একদিকে বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না, অন্যদিকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে। চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ।
ইতিহাসের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা ‘দেউলিয়া’ হয়ে গেছে বলে গত বৃহস্পতিবারই মন্তব্য করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। মারাত্মক আর্থিক সংকেট পড়া শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক রিজার্ভ বলে আর কিছু নেই। তাই দেশটি খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মত অতি জরুরি আমদানি প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি সেবার জন্যও জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না।