২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৯:২২

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের আমেজ খুলনায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : পদ্মাসেতুর রেললাইনে চলছে ট্রেন আর নীচে দিয়ে চলমান নৌকার আদলেই খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে তৈরী করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চ। এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ সকালে এই জনসভা
মঞ্চ তৈরীর কাজ পরিদর্শন করেছেন।
২০১৮ সালের ৩ মার্চের পর এটাই হচ্ছে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এই জনসভাকে ঘিরে আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

নগরী ছেয়ে গেছে নেতাকর্মীদের তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে। যে দিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় স্বাগত জানিয়ে টানানো বিশাল বিশাল এসব তোরণ, ব্যানার আর ফেস্টুন চোখে পড়বে সবার।
খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন একটা বিশাল ব্যাপার। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কে সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ জনগণের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা কর্ম চঞ্চল হয়ে উঠেছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা আগমকে কেন্দ্র করে নগরীতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগমী ১৩ নভেম্বরের এই জনসভা সফল করতে এবং বিপুল জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের মধ্যে থামাতে পারছে না আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের চাঞ্চল্যকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। তার এই খুলনায় আগমন আগামী নির্বাচনে খুলনায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আগমনকে সফল করতে ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শহরের প্রবেশ পথসহ প্রধান প্রধান সড়কে তৈরি করা হচ্ছে অসংখ্য তোরণ।
আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। এই জনসভা হবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খুলনায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা।
এদিকে, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, খুলনায় জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার ২২টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর তালিকা আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরিত প্রকল্পের তালিকায় (প্রস্তাবিত) রয়েছে মোট ২২টি প্রকল্প। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের রয়েছে ৮টি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প রয়েছে ১০টি।

এছাড়া সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।

উদ্বোধন প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্প এবং খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুনঃর্নিমাণ কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে-নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ৬তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।
এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৫তলা অ্যাকাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন