২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ২:৪৮

শিরোনাম
খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২

প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত ডুমুরিয়ার জনজীবন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

সেলিম আবেদ, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ। একদিকে শৈত্য প্রবাহ অন্যদিকে ঘন কুয়াশার ফলে অসুবিধায় পড়েছেন দিনমজুর, যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
পৌষের শুরুতেও ছিল না শীতের এত তীব্রতা। মাঝামাঝি সময়ে শীতের তীব্রতা বাড়লেও গত দুদিনে শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। শীতবস্ত্রের অভাবে কাবু হয়ে পড়ছেন অনেক অসহায় ও দরীদ্র পরিবারের শিশু-বৃদ্ধরা।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন তারা। শীতে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে খামারিদের। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবুও পেটের তাগিদে কাউকে রিকশা, ভ্যান বা ক্ষেত খামারে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে। অনেকই শীত নিবারনের জন্য খড়কুড়া জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন।

উপজেলার আংগারদহা গ্রামের দিনমজুর সুভাস দাস জানান, প্রতিদিন সকালে ইটভাটায় কাজে যেতে হয় যতই কুয়াশা বা শীত পড়ুক না কেন। কারণ কাজ করলে মুখে ভাত উঠবে। ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে, তাদের খরচ জোগাতে হয়।
উপজেলার টিপনা গ্রামের আসাদুল শেখ জানান, সকাল বেলা শীতের পোশাক খুলতেই দুপুর ১২টা বেজে যাচ্ছে। মাঠের কাজ করব কখন।

রিকশা চালক করিম হাওলাদার বলেন, প্রচণ্ড শীতে লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। যে কারণে ভাড়াও হচ্ছে না। সারাদিন গাড়ি চালিয়ে ২/৩শ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এদিকে গাড়ি চালাতে গিয়ে হাত-পা ঠাণ্ডায় শক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া পরিবারের দু’মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে হলে কষ্ট করতেই হবে। মাদারতলা গ্রামের দিনমজুর নমিতা রানী জানান, এই কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় কাজে যাওয়া যে কি কষ্টকর তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দিতে পারলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তবে আজকে খুব বেশি শীত না ঘন কুয়াশা পড়েছে। একই কথা জানালেন দিনমজুর শাহিনা খাতুন।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আর এই ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার যত্ন নিতে হবে। আর ধানের চারা যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য চারার মাথার শিশিরগুলো ফেলে দিতে হবে। উপজেলা সহকারী মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র জানান, প্রচন্ড শীতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা কাবু হয়ে পড়েছেন। হাছি সর্দি কাশি ও হাপানী রোগীর সংখ্যা বেশি, শীত জনিত রোগ ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম নয়। শিশুদেরকে গরম পোশাক পরিধানের পাশাপাশি ঘরের বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন