৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,ভোর ৫:০৯

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : প্রান্তিক জনগোষ্টির সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আয়োজনে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ৮ দফা দাবী অন্তর্ভূক্তি করতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) খুলনার কার্যালয়ে পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএ রশিদের কাছে এ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ও অসহায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম দলিত সম্প্রদায়। যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। প্রায় ৬ লাখ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বাস করে। এই দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে খুলনার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, সচেতন নাগরিকবৃন্দ, আইনজীবী, সাংবাদিকবৃন্দ ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ সমৃদ্ধ ওয়ার্কিং গ্রুপ।

ওয়ার্কিং গ্রুপরে আহবায়ক সিলভি হারুনের নেতৃত্বে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতকি দলের নেতাদের কাছে তুলে ধরা হয়। দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা। দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে দলিত দের জন্য এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ করা। জন্য চাকরি নীতি যুগোপযোগী করাসহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা হলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান, সম্প্রীতি ফোরামরে সহ-সভাপতি মিনা আজিজুর রহমান, অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শামীম, বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্ধন দত্ত নান্টু, সিপিবি’র অ্যাড রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র খুলনার সভাপতি রঙ্গলাল মৃধা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি ধীমান বিশ^াস, মিঠুন মন্ডল, ভবেশ রায়, দলিত কমিউনিটির সদস্য বুলু রানী দাস, গীতা দাস, মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন