প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর গজারিয়া
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর গজারিয়া পাটোয়ারী বাড়ি থেকে পালিত মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মাহমুদুল হক বাচ্চু (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি ওই গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের কয়েক বছর পরও নিজের কোন সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীর অনুরোধে ৯ বছর পূর্বে ৫ বছর বয়সী মেয়েটিকে দত্তক নেন বাচ্চু। এরপর মায়া মমতা দিয়ে নিজের সন্তানের মত শিশুটিকে পালনপালন করতে থাকে তারা। কিন্তু শিশুটি কৈশোরে পা রাখতেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। এতদিন যাকে সে বাবা হিসাবে জানতো সে লোকটিই রাতে আধাঁরে দিনের পর দিন তার ওপর চালাতে শুরু করেন পাষবিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।স গত মাসের প্রথম দিকে মেয়েটির শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন পালক মা ও খালা। তারা গত ২৩ জুন মেয়েটিকে গোপনে দাগনভূঞার একটি হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করালে কিশোরী মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পারেন। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা করে বাপের বাড়ি চলে যান বাচ্চুর স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, বাচ্চু নিঃসন্তান হওয়ায় পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মো. বাচ্চু। বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান পালক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে বাচ্চুকে দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে মাহমুদুল হক বাচ্চুকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
ওসি মো, আসলাম সিকদার বলেন, আসামিকে আদালতে এবং নির্যাতিত মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার ফেনীতে নেওয়া হয়েছে।