প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত অন্তত ২০
প্রাথমিক পরিমাপে জানা গেছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবন চাপায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।তবে, উদ্ধারকর্মীরা বহু হতাহতের আশঙ্কা করছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা ১ মিনিটে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় এই ভূমিকম্প হয়। খবর বিবিসি ও দ্যা ডনের। এতে প্রাণ গেছে অন্তত ২০ জনের; আহত কয়েক শ মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভূমিকম্পের পর বেলুচিস্তানের কুয়েতায় ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
প্রাথমিক পরিমাপে জানা গেছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবন চাপায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের জিও টিভি জানায়, ভোর ৪ টা ১ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অনেক মানুষ। কালেমা ও পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরা পাঠ করতে থাকেন তারা। ভূমিকম্পের পর থেমে থেমে বিভিন্ন এলাকায় ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ চলছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে হাসপাতালগুলোতে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পে নিহতদের বেশির ভাগই শিশু। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেলুচিস্তানের কুয়েতা, সিবি, হারনাই, পিশিন, কিলা সায়ফুল্লাহ, চামান, জিয়ারাত ও জোব এলাকা।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল হারনাই এলাকায়, ভূমি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার নিচে।
হারনাই এলাকার ডেপুটি কমিশনার সোহেল আনোয়ার হাশমি জানান, কয়েকজনকে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বেশ কিছু ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
এসব ভবনের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা ওই কর্মকর্তার। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
উদ্ধারকারীরা জানান, হারনাইয়ে ৭০টির বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাটিতে ৬ শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শর বেশি মানুষ।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির জিয়া উল্লাহ লানগু এএফপিকে বলেন, ‘ভূমিকম্পে আমরা ২০ জনের নিহতের খবর পেয়েছি।’