২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৬:৩৭

শিরোনাম
অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১

  • শেয়ার করুন

খুলনার পাইকগাছায় আমিনুল ইসলাম (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিখোঁজের এক দিন পর সোমবার উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ পাড়ে ওই কলেজছাত্রের জবাই করা আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা।
নিহত আমিনুল ইসলাম উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতের পিতা বলেন গত (৭ নভেম্বর) রোববার আমার ছেলের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে আমার কাছে পনেরো লক্ষ টাকা  মুক্তিপণ দাবী করে। পরে পুলিশকে অবহিত করা হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একটি অপহরণকারী চক্র উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার থেকে আমিনুর রহমানকে অপহরণ করে।

এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে তার বাবা ছুরমান গাজীর কাছে পনেরো লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রিজের নিচে রাখতে বলা হয় বলেও জানানো হয়। পরে মুক্তিপণের কিছু টাকা ওই স্থানে রেখে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে নির্দিষ্ট স্থান থেকে টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় চারপাশে মোতায়ন করা লোকেরা অপহরণকারী ফয়সাল সরদারকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়।

পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, অপহরণের ঘটনায় উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার নামে একজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানান, অপহৃত আমিনুলেকে রোববার রাত ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের পাড়ে পানীয়’র সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে পান করান । এরপর অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় আগে থেকে লুকিয়ে রাখা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়। জবাইকৃত যাইগায় রক্ত ও পানীয়’র বোতল পড়ে থাকতে দেখাগেছে। যা পুলিশ আলামত হিসেবে সংগৃহীত করেছে।

বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদে পুলিশ,আত্মীয় স্বজন ও সাধারন জনতা খোঁজাখুঁজির পরেও এখনো লাশের সন্ধান মেলেনি। হত্যায় ব্যবহৃত দা কপোতাক্ষ নদে ফেলে দিয়েছে বলে ফয়সাল স্বীকার করেছে। ব্যবহৃত দা ও খোঁজা অব্যহত রয়েছে।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন