প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২০
এ কে আজাদ, পাইকগাছা: খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাটী মোড় হতে কাশিমনগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিঃ মিঃ প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে! এর মধ্যে কোথাও কোথাও পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
এদিকে দুর্ভোগ এড়াতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে দু’একটি স্থানে পিচের রাস্তার উপর ইটের সলিং বসালেও জনদূর্ভোগ বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং পিচের উপর ইটের সলিং উচু হওয়ায় পানি গড়িয়ে পার্শ্ববর্তী ভাল জায়গায় জমা হয়ে আবার সেখানে ক্ষত সৃষ্টি করছে। পানি জমা থাকায় সেখানে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলার কপিলমুনি বাজারের উত্তরে কাশিমনগর, দক্ষিণে মাহমুদকাটী তিন রাস্তার মোড়সহ প্রায় জায়গায় রাস্তাটির করুণ পরিণতি দেখা গেছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান এ সড়টি দিয়ে পাইকগাছা, কয়রাসহ পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা, আশাশুনির লক্ষাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
দক্ষিণ জনপদের মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাতয়াত ও বিভিন্ন প্রকার পণ্য আনা-নেওয়া করে। বিশেষ করে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ী, কালো সোনা খ্যাত কাঁকড়া, ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, পরিবহন, মিনিবাস, ইজিবাইক, মহেন্দ্র এ সড়কে চলাচল করে থাকে।
বিগত কয়েক বছর আগে ব্যাস্ততম এ সড়কটিতে তালার গোনালী সহ বিভিন্ন স্থান পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় জনগুরুত্ব বিবেচনা করে তৎকালীন ও বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সড়কটি উঁচু করন সহ পিস দিয়ে সংস্কার করা হয়। এরই মধ্যে আবারো সড়কটি বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফের বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা পানি জমাট বেঁধে থাকায় কোন জায়গার অবস্থা কেমন বা কোথায় গর্ত আছে তা নির্ণয় করা কঠিন।
এ কারণে যখন তখন যান্ত্রিক বাহনগুলো কাৎ-চীৎ বা উল্টে পড়ছে। ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। বাহনগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আহত হচ্ছে অনেকেই। এছাড়া গাড়ির চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে নোংরা পানি ছিটকে পাশের দোকানপাট ও পথচারীদের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার জানান, পিচের রাস্তায় ইটের সলিং বসিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। রাস্তার ধারে পানি সরানোর ব্যাবস্থা বা ড্রেন না থাকায় বাজার এলাকায় প্রধান এ সড়কটি বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জনগুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধান সড়কটি সংস্কারে এমপি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।