১১ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,দুপুর ২:৩২

শিরোনাম
খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনার জমিদার বাড়ী দখল ও জীবননাশের হুমকির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছায় প্রান্ত হত্যা, ১ মাসেও গ্রেপ্তার নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনার পাইকগাছায় ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্ত ঘোষ (২৪) হত্যার এক মাসেও আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রান্ত উপজেলার গদাইপুরের পুরাইকাঠি গ্রামের ভড়ু ঘোষের ছোট ছেলে।

খুলনার একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি।
৭ অক্টোবর বিকেলে গড়ইখালী বাজারে উপজেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুল ইকবাল মন্টুর নৌকার নির্বাচনী পথ সভা শেষে রাতে মোটর সাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন প্রান্ত।

ফেরার পথে বেশ কয়েকজন যুবক পিছন থেকে মোটর সাইকেল চোর গুজব তুলে তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে লস্কর ইউপির উত্তর খড়িয়া গ্রামের সুকুমার মন্ডল বাড়ির কাছে রাস্তায় রাখা বালিতে ও ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে সটকে পড়ে আঘাত পান প্রান্ত।

এরইমধ্যে পিছন থেকে তাড়া করা যুবকরা প্রান্তকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
প্রথমে এ ঘটনা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার চালায় একটি পক্ষ।

তাকে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তিতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রান্তকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ অক্টোবর (বুধবার) তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর ২ দিন পর ১৬ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে নিহতের ভাই অনুপ ঘোষ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যার নং-১২।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা। প্রশ্ন উঠেছে, প্রান্তকে কেন পিটিয়ে হত্যা করা হলো, কি ছিল তার অপরাধ? সেদিন সন্ধ্যা পরবর্তী ঐ মিশনে কারা কারা অংশগ্রহণ করে এবং ঘটনা পরবর্তীতে কারা সেখানে উপস্থিত হয়? এরপর আহতাবস্থায় প্রান্তকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রোড এক্সিডেন্ট-এর মিথ্যা ইনফরমেশন কে বা কারা লিপিবদ্ধ করিয়েছিল? কি বা তার কারণ? নাকি বিষয়টি সুপরিকল্পিত? নাকি ঘটনার আড়ালে অন্য কোন রহস্য লুকায়িত? এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে।

স্বজনদের মতে, ঘটনার আগে ও পরে নিহত প্রান্তের সাথে কারা ছিল বা কত সময়ের ভিতরে মারপিট সংঘটিত হয়েছিল? হাসপাতালে কে বা কারা এক্সিডেন্টের তথ্য দিল পরিষ্কার হওয়া দরকার।

হত্যায় জড়িতরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত প্রান্তের ভাই ও মামলার বাদি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, আমার ভাইকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। যে কারণে আমরা হতাশ। প্রান্তর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। তাহলে সে মটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে কি করে? অবিলম্বে আমরা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি বলেন, প্রান্ত হত্যা মামলার এখনও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন