২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,ভোর ৫:০৪

পাইকগাছায় কলেজ ছাত্র আমিনুরের লাশ ৫৮ ঘন্টা পর উদ্ধার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১

  • শেয়ার করুন

খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে অপহরণের পর হত্যার ৫৮ ঘণ্টা পর আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাইকগাছার আগড়ঘাটা বাজার এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভাটার সময়ে কপোতাক্ষ নদে স্থানীয়রা তার লাশ দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। তার লাশ উদ্ধারের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান।

এর আগে সোমবার থেকে আটক তার ঘাতক ফয়সালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদীতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও তার লাশ উদ্ধার করা যায়নি। এরআগে ৯ নভেম্বর ছেলে হত্যার অভিযোগে আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী আটক ফয়সালকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। যার নং-০৭। এদিকে খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামী ফয়সাল।

এর আগে ঘটনার একমাত্র আসামী ফয়সালের ফাঁসির দাবিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসী মঙ্গলবার সকালে এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে পার্শ্ববর্তী গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২২) মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে।

এরপর আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ঐদিন রাত ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রীজের নীচে রাখতে বলে অপহরণকারী। এরপর অপহৃত আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী তার কথামত দাবির কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রাখেন। তবে ঘটনাস্থলে টাকা রেখে বিষয়টি নজরদারিতে থাকা পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করেন।

পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, সকালে ঘটনাস্থলের প্রায় ৩ শ’ গজ দূরে নদীর চরে আটকে থাকা অবস্থায় নিহত আমিনুরের লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে ফয়সালকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে তাকে কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে তার লাশ কপোতাক্ষ নদীতে ফেলে দেয় বলে জানায়। তারা স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার দুপুরের পর তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়ার পর লাশ উদ্ধারে কপোতাক্ষে ব্যাপক তল্লাশী শুরু করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে আটক ফয়সাল। প্রেমিকার আবদারে নিজের জন্য মোটর সাইকেল কিনতেই তাকে অপহরণ করে বলে জানায় সে। মুক্তিপন না পেয়ে আমিনুলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ কপোতক্ষ নদে ফেলে দেয় বলে পুলিশকে জানায় আটক ফয়সাল। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কপোতক্ষ নদে গিয়ে রক্তের চিহ্ন মিললেও লাশ পায়নি পুলিশ। তিনদিন পর আজ বুধবার সকালে কপোতক্ষ নদ থেকে তার লাশ পায় পুলিশ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন