প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫
তথ্য প্রতিবেদক : নৌবাহিনীতে চাকরী দেয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে ৯ জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে নৌবাহিনী। এসময় তাদের হাতে জিম্মি ৩৮ জন চাকরী প্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাতভর খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার হোটেল সুইফট থেকে ৯ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক হলেন, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিসাতপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, একই উপজেলার মহিষকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ, চক গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলীর ছেলে মো. আলহাজ আলী, চুয়া মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা নয়ন আলী, ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি উপজেলার ঘোষবাড়ির বাসিন্দা রেজাউল মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ডল, মেহেরপুর জেলার গংনী উপজেলার হাড়ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের ছেলে মোসতাকিম, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াজ মোল্লা, রাজশাহীর বাগমার উপজেরঅর কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, এবং কুষ্টিয়া উপজেলার পদমাদিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারীর ছেলে শামীম ইসলাম।
সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আব্দুল হাই বলেন, মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিতুমীর খুলনার খালিশপুরে নিয়োগ পরীক্ষার মাঠ আছে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক চক্র খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগ এবং জেলা থেকে চাকুরী প্রত্যাশীদের প্রলোভন দেখাতে থাকে। এ সকল প্রতারক তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়ে থাকে। সোমবার রাতে তাদের কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা দাবিও করেছিল। তার পদক্ষেপ হিসেবে চকুরী প্রত্যাশীদের নিকট থেকে প্রতারকরা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, নৌবাহিনী খুলনার তিতুমীরে পরীক্ষা আছে বলে ৩ দিন আগে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার আবাসিক হোটেল সুইফটের ৩টি কক্ষ ভাড়া করে। আমরা অনেক আগে বিষয়টি আচ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমাদের আগে নৌবাহিনী প্রতারিত হওয়ার আগে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৯ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার এবং ৩৮ জন চাকুরী প্রত্যাশিকে উদ্ধার করে। এ সময়ে প্রতারকদের কাছ থেকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ৫ টি মোবাইল ফোন ১০০ টাকা মূল্যের ৩৬ সেট স্ট্যাম্প এবং কয়েকটি ব্লাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়। নৌবাহিনীতে চাকুরী দিয়ে ৯-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার টার্গেট তাদের ছিল।
তিনি বলেন, ভোররাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৯ জন প্রতারককে থানায় হস্তান্তর করেন এবং তাদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেন, বানৌজা পিও(আর) মো. আরিফুল ইসলাম।