৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,বিকাল ৪:৪৪

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

নারী পুলিশের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২০

  • শেয়ার করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে ওসি আবু নাসের রায়হানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে (৬ অক্টোবর) নীলফামারীর সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

ওই ওসির বিরুদ্ধে ভিকটিমের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী জানা গেছে, ওই নারী পুলিশ প্রশিক্ষণ শেষে বিগত ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পুলিশ কনস্টেবল পদে নীলফামারী পুলিশ লাইনে যোগদান করেন। এরপর থেকেই নীলফামারী রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর (বর্তমানে বরিশাল ডিআইজি অফিসে ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত) আবু নাসের রায়হান প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন।

বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অশ্লীল পর্ণ ছবি দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিতেন আবু নাসের রায়হান।

এরই এক পর্যায়ে ২০১৬ সাল থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাদের এ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পূর্বের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন বিয়ে না করায় চাপ দিলে একদিন হুজুর প্রকৃতির একজন লোক ডেকে এনে বিয়ে করেন।

কিন্তু কাজীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করার কথা বললে আবু রায়হান বলেন, আমরা তো আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছি, রেজিস্ট্রির প্রয়োজন নেই। এভাবে বিয়ের নামে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন বিয়ে রেজিস্ট্রি করার চাপ দিলে ওসি কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং উল্টো তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে কৌশল করে ভিকটিমকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পুলিশ লাইনে এবং নিজে বরিশাল ডিআইজি অফিসে বদলি হয়ে যান।

এ পর্যায়ে ভিকটিম প্রথমে বরিশাল ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং নিজ জেলা ঠাকুরগাঁয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮৮/২০২০ ইং।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল ডিআইজি তদন্তের নির্দেশ দিলে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সৈয়দপুর সার্কেল কার্যালয়ে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত চলছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন