১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১০:৩৯

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জুস কারখানা থেকে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনজন এবং আজ শুক্রবার দুপুরের পর আরও ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অর্ধশত।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো একতলা থেকে চারতলায় ছিল। এখন ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ চলছে। এখনো ধুয়া রয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে। রাতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে কারখানার অনেক শ্রমিক নিখোঁজ থাকায় তাদের স্বজনরা ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে আহাজারি করছেন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। ধ্বংসস্তুপের ভিতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। আরেফিন আরো জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ছয়তলার কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্মী রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর পরই গোটা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন