৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৬:২৫

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

দেশে করোনায় একদিনে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৬৬৬

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২০

  • শেয়ার করুন

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি কেড়ে নিয়ে আরও ৪৭ প্রাণ। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৩৫২ জন।
এছাড়া একই সময়ে আরও দুই হাজার ৬৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জনে।

করোনাভাইরাস বিষয়ে রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

৭৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ২১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নয় লাখ ৪০ হাজার ৫২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬৬৬ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৩৫২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ৫৮০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩ হাজার ৬১৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৭ জন মারা গেছেন, তাদের ৩৬ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ২০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন ছিলেন। ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ছয়জন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, চারজন সিলেট বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, দুইজন রংপুর বিভাগের এবং দুইজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ৪৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।

ব্রিফিংয়ের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন চলছে। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন