প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় রাইট টু গ্রো প্রকল্পের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে উপজেলা মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সের হল রুম এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রাইট টু গ্রো প্রজেক্টের ম্যানেজার জগন্ময় প্রজেশ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেসী ও জেন্ডার অফিসার উজ্জ্বল কুমার পাল, উপজেলা সিএসও প্ল্যাটফরমের সাধারণ সম্পাদক ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক লিটন ঘোষ বাপি, কুলিয়া ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের মিলন হোসেন, পারুলিয়া ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের বাবু রাম, সখিপুর ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের রিজমা খাতুন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের হাফিজুল ইসলাম, দেবহাটা ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা সিএসও প্ল্যাটফরমের সভাপতি সালাউদ্দীন আহম্মেদেরে পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, পারুলিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ফারহানা পারভীন মুক্তি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রাইট টু গ্রো প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসার তানজিমা আক্তার, ট্রেনিং এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার সুশান্ত রায়, মনিটরিং অফিসার বিলকিস আরা চৌধুরী, ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর রাজেস ঘোষ ও সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলা, ইউনিয়ন সিএসও প্ল্যাটফরমের সদস্য, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিএসও প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে বিগত তিন মাসের জরিপ ও অর্জন তুলে ধরা হয়। একই সাথে এলাকার ওয়াশ, পুষ্টি, অধিকার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে কমিউনিটির সক্ষমতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা চলমান রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে সেবাপ্রদানকারীদের সাথে সুসসম্পর্ক স্থাপন করা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধে পুষ্টি, ওয়াশ ও স্বাস্থ্য খ্যাতে বরাদ্ধ রাখা এবং প্রকৃতদের মাঝে তা বন্ঠন করা।
পাশাপাশি হেলদি ভিলেজ বাস্তাবায়নে সিএসও কর্তৃক জরীপ তথ্যে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলায় ৮০টি সিএসও রয়েছে। এ কাজের জন্য ৫৯ টি গ্রামকে বাছায় করা হয়েছে। এসকল গ্রামের জনসংখ্যা ৩৮ হাজার ২৭৮ জন, সেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু আছে ২ হাজার ৯৮৫ জন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭২৭ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী অপুষ্ট শিশু চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৪৬ জন গর্ভবর্র্তী ও ৩০৭ জন প্রসুতি মা রয়েছে। মোট কিশোরী আছে ১ হাজার ৩৮৬ জন। এসব গ্রামের অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে ৯২৭ টি পরিবার, অনিরাপদ পানি পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করেন ৪০৩ জন, এসব পরিবারে ৬২৩ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। অপরদিকে, হাত ধোয়ার ডিভাইস আছে ২ হাজার ৮২১টি পরিবারে। আর পুষ্টি বাগান আছে ৩ হাজার ২৯৮টি পরিবারে।