প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
তথ্য প্রতিবেদক : অর্থ আত্নসাতের দায়ে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি গোপন করে খুলনা ওয়াসায় চাকরি করছেন এম খাদেমুল ইসলাম। এক বছর আগে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে সূত্র জানিয়েছে। বর্তমানে এম খাদেমুল ইসলাম খুলনা ওয়াসায় বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত রয়েছেন।
সূত্র জানায়, খুলনা ওয়াসায় চাকরী করার আগে বয়রা সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে এম খাদেমুল ইসলাম খুলনা পাবলিক কলেজে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাকে ২০১০ সালের ২৪ জুলাই ওই কলেজ থেকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে খুলনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ মুনসুর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ সূত্র জানা যায়, খুলনা পাবলিক কলেজের চাকরি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর এম খাদেমুল ইসলাম তৎকালীন খুলনায় ওয়াসায় চাকরী লাভ করেন। কিন্তু তিনি খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার বিষয়টি তখন গোপন রাখেন।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনক এম খাদেমুল ইসলামের অর্থ আত্নসাত এবং চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানার জন্য খুলনা পাবলিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে মতামত প্রদানের অনুরোধ জানান। খুলনা ওয়াসার পত্র পাওয়ার পর খুলনা পাবলিক কলেজ কর্তৃপক্ষ মাত্র ১০ দিনের মধ্যে (৩১-১০২০২৪ ইং তারিখে) খাদেমুল ইসলামের চাকরীচ্যুতির বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় এক বছর পার হতে চললেও খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল মোহাম্মদ শামীমুল আহসান শামীম জানান, খুলনা পাবলিক কলেজে হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এম খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে ২০১০ সালের ২৪ জুলাই চাকরী থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে এম খাদেমুল ইসলাম সমুদয় অর্থ ফেরত দেন।
তবে এসব বিষয়গুলো একটা ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন খুলনা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এম খাদেমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে যে বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে তা আবার উত্থাপন করা একটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু না। তিনি বলেন, কতিপয় পাম্প অপারেটরকে বিভিন্ন জোনে বদলি করায় তারাই এমন ষড়যন্ত্র করছে।
খুলনা পাবলিক কলেজের অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ওখান থেকে আমি চলে আসার পর এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ তো জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের সব টাকা আমি ফেরত দিয়েছি।