৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৭:৫৩

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা, কালু-মিন্টুর ফাঁসি কার্যকর আজ রাতে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামি মিন্টু ওরফে কালু (৫০) ও আজিজুল হক ওরফে আজিজের (৫০) ফাঁসি কার্যকর করা হবে আজ সোমবার।

সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টায় তাদের দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের বদর ঘটকের ছেলে আজিজ ওরফে আজিজুল ও একই এলাকার আলীহিমের ছেলে মিন্টু ওরফে কালু।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গত শনিবার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামির সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয় ওই দুই নারীকে। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অন্য দুজন হলেন, একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন আসামি মহি মারা যান।

এদিকে ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন।

২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এ বছরের ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন খান বলেন, ‘দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আদেশ এসেছে। দুই আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে শেষ দেখা করে গেছেন অর্ধশতাধিক লোক। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আজিজুল ও মিন্টুর ফাঁসি কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রায় কার্যকরের সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।’

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন