৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১২:২০

দুই বছর ধরে জন্ম নিবন্ধন বন্ধ, ভর্তি অনিশ্চিত শিশুদের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভায় ২ বছর জন্ম নিবন্ধন সনদ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পৌরবাসী। ছোট ছোট বাচ্চাদের বিদ্যালয় ভর্তি করাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি করাতে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে ভর্তি করাতে হয়। শ্যামনগর পৌরসভার অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

২০২৫ সালের শুরুতেই পৌরসভার শতাধিক শিশুকে বিদ্যালয় ভর্তি করতে চান অভিভাবকরা। কিন্তু তার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্ম নিবন্ধন সনদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবারও শিশুরা বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।

শ্যামনগর পৌরসভার অভিভাবক আজিজুর রহমান আজিবর বলেন, নতুন পৌরসভা ঘোষণার পর থেকেই প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে শ্যামনগর সদরে জন্ম নিবন্ধন সনদটি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছে। সন্তানদেরকে স্কুলে ভর্তি সহ টিকা প্রদান ও অন্যান্য কাজে নানান সমস্যায় পড়ছে।

দেলোয়ারা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিবন্ধন সনদটি বন্ধ থাকায় পৌরসভার প্রায় শতাধিক শিশুকে নতুন বছরে স্কুলে ভর্তি করার জন্য অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া স্কুলে ,মাদ্রাসায় বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদেরকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এমন অভিযোগ রয়েছে অভিভাবকদের।

পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের অভিভাবক আলম শেখ বলেন, দুই বছর জন্ম নিবন্ধন সনদ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমার শিশু সন্তানটাকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পারেনি। এ অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসে কে সিরাজ বলেন, আমার সন্তানের বয়স সাত বছর হলেও এখনো পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন ভুক্ত করতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন সনদ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে জটিলতা বিরাজ করছে। এ অবস্থা যদি চলমান থাকে তাহলে শ্যামনগর পৌরসভার শত শত শিশু সন্তানদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে শ্যামনগর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাস এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌরসভা গেজেট ভুক্ত হওয়ার পর থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের আইডিটি বন্ধ আছে, প্রশাসকের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি দ্রুত চালু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

শ্যামনগর পৌরসভার প্রশাসক ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন বলেন, বিষয়টি আমি শোনা মাত্রই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। পাশাপাশি বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথেও কথা বলেছি। শ্যামনগরের মানুষ কোন প্রকার কষ্ট যাতে না পায়। সে বিষয়টি আমার মাথায় থাকবে সর্বক্ষণ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন