প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২
প্রকাশিত:
সীমান্ত ব্যুরো, সাতক্ষীরা:ভাগ্যে ‘টাকা’ সঙ্গে ছিল, তাইতো পদকর্তা, বড়কর্তাদের কৃপায় ক্ষমতার চেয়ারে বসে মজা লুঠবার সুযোগ পেতে যাচ্ছে স্বার্থান্বেষী নেতারা। এমনই এক প্রতিপাদ্যের ¯েøাগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে ভোমরা স্থলবন্দর। তাই অন্তহীন জল্পনা কল্পনা আর আলোচনা সমালোচনার মধ্যে এবার দুই কোটি টাকার বানিজ্যের মধ্য দিয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী প্রাণকেন্দ্র ভোমরা কাষ্টমস সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের প্রহসনমূলক পাতানো নির্বাচনের কমিটি। এবারের এই কমিটি আশীর্বাদধন্য হয়ে জনৈক পদকর্তা ও বড়কর্তাদের সদিচ্ছায় ক্ষমতাসীন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী সোমবার সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন ভবনের নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহনের কথা থাকলেও ওই পদকর্তা ও বড় কর্তাদের ছত্রছায়ায় অজ্ঞাত স্থান থেকে গ্রহন করা হয়েছে সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের ৯টি পদের বিপরীতে নির্ধারিত ৯ জনের মনোনয়নপত্র। সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, আজ সোমবার ছিল কমিটির নির্বাচনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হলেও এই সময়ের মধ্যে সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনে নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য হাজির হননি। অপরদিকে সেখানে ছিল পুলিশের উপস্থিতি। নির্বাচনে আগ্রহী সদস্যরা জানান, তারা যথাসময়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েও কমিশনের কোন কর্মকর্তার দেখা পাননি। এমনকি মোবাইল ফোনে তাদের সাথে কথাও বলতে পারেননি। সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশন ভবনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোন ব্যক্তিকে সেখানে ঢুকতে দেননি। ফলে মনোনয়নপত্র হাতে নিয়ে তারা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আশরাফুল ইসলাম খোকনের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের আহবায়ক মিজানুর রহমান জানান, গত ২৫ এপ্রিল সাধারন সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আশরাফুল ইসলাম খোকাকে নির্বাচন কমিশনার, গোলাম আকবরকে সদস্য সচিব এবং আব্দুস সাত্তারকে সদস্য করে ৩ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। অথচ তিনি নিজে সহ অন্যরাও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশন ভবনে কমিশনের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। সেখানে ছিল কেবলমাত্র দায়িত্বরত পুলিশ। তারা কোন সদস্যকে সেখানে দাঁড়াতেও দেননি। সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দুই কোটি টাকার বানিজ্যের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ২ কর্মকর্তা ম্যানেজ হয়েছেন। তাদের ছত্রছায়ায় সাধারণ সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই কাউকে বুঝতে না দিয়ে কোন অজ্ঞাত স্থানে বসে ৯টি পদের বিপরীতে ৯টি মনোনয়নপত্র গ্রহন করা হয়। এতে সভাপতির পদে রয়েছেন কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন খান মাকসুদ হোসেন। কোন এক সময় এই পাতানো মনোনয়নপত্রের বিষয়টি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, সাবেক আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন, বর্তমান আহবায়ক মিজানুর রহমান এবং সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী সহ এসোসিয়েশনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, দুই কোটি টাকার উৎকোচ হিসাবে ওই ৩ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর তারাই এই নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক হিসাবে কমিশনকে হাতের মুঠোয় ফেলে অজ্ঞাত কোন স্থানে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ‘আমরা এই পাতানো নির্বাচনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি’।