প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০
দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের পাঁচ দিনব্যাপী সামরিক মহড়ার মধ্যেই ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানবাহী রণতরী মহড়া চালিয়েছে।
শনিবার মার্কিন নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মুক্ত ও স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিকের’ সমর্থনে তাদের ইউএসএস নিমিৎজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগান দক্ষিণ চীন সাগরে মহড়া ও অভিযান চালিয়েছে।
একই সাগরের প্যারাসেল আইল্যান্ডের কাছে বুধবার থেকে চীনের মহড়া শুরু হয়েছে। দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। রোববার বেইজিংয়ের এ মহড়াটি শেষ হওয়ার কথা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীগুলো শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরের ঠিক কোন অংশে মহড়া চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মার্কিন নৌবাহিনীর বিবৃতিতেও মহড়ার স্থান উল্লেখ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলো সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশেই মহড়া করে।
সম্প্রতি ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানবাহী রণতরীকে একসঙ্গেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস, বাণিজ্য চুক্তি এবং হংকং নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে বিতর্কিত জলসীমায় ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের পাল্টাপাল্টি মহড়া দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
চীন তাদের মহড়ার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিল; অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনী শনিবার আচমকাই দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের দুটি রণতরীর মহড়ার খবর দিল।
দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীনের সঙ্গে এর প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধ থাকলেও বিতর্কিত এ জলসীমার প্রায় ৯০ শতাংশই মূলত বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে।
চীন প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ চীন সাগর অংশে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে বলে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া চীনের ৫ দিনের মহড়ারও সমালোচনা করেছে তারা।
এর পাল্টায় বেইজিং ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করেছে। গত কয়েক বছরে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের অধিক উপস্থিতি নিয়েও ধারাবাহিক আপত্তি জানিয়েছে তারা।
চীনের মহড়ার সমালোচনা এসেছে ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের কাছ থেকেও। এ ধরনের মহড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে সতর্কও করেছে তারা।