৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ৯:২৬

ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেবে পুলিশ

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

ঢাকা অফিস: ঢাকার সব প্রবেশমুখে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান’ কর্মসূচিতে অশান্তি হতে পারে বলে শঙ্কা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে সকাল থেকেই ঢাকার সকল প্রবেশমুখে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কে যান চলাচলে কেউ বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূল সড়কে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ থেকে শনিবার ঢাকা শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির সঙ্গে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করবে যুগপতে যুক্ত ৩৬টি দল ও বিভিন্ন জোট।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, ঢাকার প্রবেশমুখে কেউ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে ডিএমপি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এজন্য সকাল থেকেই প্রবেশমুখগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
ডিএমপির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশমুখগুলোতে যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা মোকাবিলার জন্য রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সড়কের পাশে কেউ অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে কোনও বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নেয় তাহলে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নিতে পারে। ঢাকার চার পাশের প্রবেশমুখগুলোর মধ্যে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী-আমিনবাজার, সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-শনিড় আখড়া ও বাবুবাজার এলাকায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এসব এলাকায় বিএনপি ও যুগপত আন্দোলনের সহযোগী দলের নেতাকর্মীরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নিতে পারেন। একই সঙ্গে এসব এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নেওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপির পক্ষ থেকে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ছাড়াও পুলিশের রায়ট কার ও জল কামানসহ রায়ট কন্ট্রোলের জন্য সব ধরনের ইকুইপমেন্টও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রবেশমুখগুলোতে একটি করে জল কামান ও একাধিক রায়ট কার রাখতে বলা হয়েছে।
ঢাকা জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, শান্তিপূর্ণ কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেবে না। কিন্তু যান চলাচলে বাধা বা সাধারণ মানুষের চলাচলের বাধা ও জান-মালের ক্ষতির চেষ্টা করলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন