৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ২:৫৮

ডুমুরিয়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় চুকনগরে আলোচিত হালিমা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় ফাতেমা খাতুন নামে এগারো বছরের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির ছাত্রী। এ ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আত্ন গোপন করেছে বলে জানা গেছে।
মৃতের চাচা আলামিন মৌলঙ্গী জানান, গত ৩১ জুলাই সকালে উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের তার ভাইপো আলাউদ্দিন মৌলঙ্গীর মেয়ে ফতেমা খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে মোঃ কামাল হোসেনের হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভর্তি করা হয়। এরপর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে অ্যাপেনডিক্স হয়েছে বলে জানান এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফাতেমা খাতুনের অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য অস্ত্রপোচার করেন। অস্ত্রপোচারের সময় ভূলবশতঃ প্রসাবের নাড়ি কেটে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। এরপর ৪দিন পর শুক্রবার সকালে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন ফাতেমা খাতুনকে আবারও ওটিতে নিয়ে যান এবং ঘন্টা দুয়েক পরে ওটি থেকে বের করে রোগীর স্বজনদের কাছে ফাতেমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ্য বলে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। স্বজনরা তখন দিশেহারা হয়ে শনিবার খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ফাতেমাকে ভর্তি করেন। কর্তৃপক্ষ ফাতেমার অবস্থা দেখে আইসিউতে নিবিড় পর্যেবেক্ষনে রাখেন। একই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে স্কুল ছাত্রী ফাতেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকে ছুটে আসলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেনসহ স্টাফরা মেইন গেট বাদে প্রতিটা কক্ষ তালা বন্ধ করে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্লিনিকে কাউকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন