২৩শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ১২:২৭

শিরোনাম
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনার জমিদার বাড়ী দখল ও জীবননাশের হুমকির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সাড়ে ৪১ কোটি টাকার মুনাফা অর্জন মোংলা বন্দরের খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র

ডুমুরিয়ায় কলেজ ছাত্র সুদর্শন হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১

  • শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলানার ডুমু‌রিয়ায় কলেজ ছাত্র সুদর্শন রায় (২৫) হত‌্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপরএক আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার অ‌তি‌রিক্ত দায়রা জজ ১ আদালতের বিচারক মোঃ ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডুমুরিয়ার বিপুল বিশ্বাসের স্ত্রী দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাস। এ মামলায় বিপুল বিশ্বাসকে খালাস দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তাদের মধ্যে দ্রৌপদী বিশ্বাসকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর আসামী কংকন বিশ্বাসকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আর বিপুল বিশ্বাসকে মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়। এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন এম ইলিয়াস হোসেন। আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সন্দীপ কুমার দাশ।
মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেন, বটিয়াঘাটার সুকুমার রায়ের ছেলে সুদর্শন রায় (২৫) ছোট থেকেই তার মামা দীনবন্ধু মন্ডলের বাড়ি ডুমুরিয়ার বড়ডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতো। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার কথা বলে সুদর্শন রায় বাড়ি থেকে বের হয় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে ডুমুরিয়া মির্জাপুর তিন রাস্তার মোড়ে কালভাটের অদুরে স্থানীয় তুহিন বিশ্বাসের সাথে সুদর্শনের কথাবার্তা হয়। এরপর সে একা একা মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হয়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামীরা সুদর্শনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরস্পর যোগসাজসে তাকে হত্যা করে।
এজাহারে দীনবন্ধু আরো উল্লেখ করেন, আসামীরা আমার ভাগ্নে সুদর্শনকে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নৌকাযোগে ডুমুরিয়ার মির্জাপুর গ্রামের দক্ষিণ খালের উত্তর পার্শ্বে জনৈক অরুণ কুমার মহলদারের পুকুর পাড়ের ভেড়ীবাধের উপর ফেলে রাখে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ দেখে আমাকে সংবাদ দেয়। সাংবাদ শুনে আমিসহ আমার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে আমার ভাগ্নের মৃতদেহ শনাক্ত করি। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পাই। পুলিশকে সংবাদ দিলে ভাগ্নের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত সুদর্শন রায়ের মামা দীনবন্ধু মন্ডল বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন(নং-২৩)।
মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল বলেন, রায়ে দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাসের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে দিয়েছেন আমরা সন্তুষ্ট। তবে ফাঁসির প্রত্যাশা করেছিলাম।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন