১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ৯:১৩

জাফর ইকবালের অনুরোধে শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিত, আন্দোলন চলবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২

  • শেয়ার করুন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পানি খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান। টানা সাতদিন ধরে অনশন করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।তবে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ড. জাফর ইকবাল দম্পতি ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।

ক্যাম্পাসে এসে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আলোচনার পর আন্দোলনকারীদের মুখপত্র শাহরিয়ার আবেদিন জানান, জাফর স্যার, ম্যাডাম তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সরকারকে বলবেন। তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনশন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান শাহরিয়ার আবেদিন। তবে উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে ঢাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই ৫ জনকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।

গ্রেফতার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন— হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নুর মুইন (৩১), এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), একেএম মারুফ হোসেন (২৭), ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন