প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২০
খুলনায় পরকিয়া প্রেমে আসক্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ মঈনুল হকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ১সন্তানের জননীকে অমানবিক নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের কাশিপুরে ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। সে খেওরা গ্রামের কয়রা উপজেলার মোঃ আমিন উদ্দিন গাজী পুত্র ও খুলনার নুরনগর শিশু শিক্ষা নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এঘটনায় খুলনা মহানগর হাকিম এর আমলী আদালতে এবং খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলাও করা হয়।
এামলা এজহারে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মঈনুল হকের সাথে ২০১০ সালে ইসলামী শরীয়াহ মতে ও ২লাখ ৫০হ্জার টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয় ৭নং ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকার মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লার মেয়ে মোসাঃ সাবরিনা আজিজ’র। বিয়ের সময় স্ত্রীর পিতৃালয় থেকে একমাত্র মেয়ের সংসার সুখের জন্য উপহার হিসেবে মেয়ের জামাইকে দেয়া হয় স্বর্ণালংকার, সংসারের সকল ধরনের ফার্ণিচার সামগ্রী সহ প্রায় ৩লাখ টাকার মালামাল। তাদের সংসারে ৭বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। সুন্দরভাবে চলে আসছিলো তাদের সংসার। বিগত কয়েক বছর পূর্বে স্বামী অন্যত্রে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ফলে তাদের সুন্দর সংসারে যৌতুক নামক ভাইরাসে স্ত্রীর উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। এরপরও মেয়ের সংসার সুখের আশায় স্বামীকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১০লাখ টাকার দেয়া হয়। এত কিছুর পরও এই আসামী তৃপ্ত নয়। বর্তমানে সে একটি জমি ক্রয়ের জন্য বাদিনীকে তার পিতার কাছ থেকে ৫লাখ টাকা এনে দিতে বলে। তাকে এই টাকা এন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারো শুরু হয় স্ত্রীর উপর অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতন-মারধরের এক পর্যায়ে তাকে তাঁড়িয়ে দেয়া হয় বাড়ি থেকে। এরপর থেকে পত্র সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন স্ত্রী। স্বামীর সংসারে ফেরার আশায় স্ত্রী অনেক যোগাযোগ করেন। কিন্তু স্বামী মঈনুল জানায় ৫লাখ টাকা না দিলে তিনি আর তার সাথে সংসার করবেন না। প্রয়োজনে অনত্র বিবাহ করে সংসার করবেন। কোন সুরহা না মেলায় স্ত্রী মোসাঃ সাবরিনা আজিজ বাধ্য হয়ে স্বামী মঈনুল হকে বিরুদ্ধে প্রথমে খুলনা মহানগর হাকিম এর আমলী আদালতে ও পরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
কিন্তু সুচতুর ও কলাকৌশলী স্বামী মঈনুল হক অর্থব্যায় করে তালাক নামা পাঠায় এবং রিসিভ দেখিয়েছে কিছুদিন আগে। এবং স্ত্রীকে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে ফোন দিয়ে নানা ভাবে ব্লাক মেইল করছে। হতভাগা স্ত্রী সাবরিনা আজিজ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মানবাধিকার নেতাদের মানবিক দৃষ্টিতে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্ত্রী সাবরিনা আজিজ আরো বলেন, মঈনুল পরীক্ষায় বেশী নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই রুমের চারটি ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। এছাড়াও সে যত গুলো ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতো সকলের সাথেই কোন না কোন সম্পর্ক করতো। আর সম্পর্ক গড়তে না পারলে তাকে বাদ দিয়ে দিতো। ভাল মানের ইংরেজী শিক্ষক হওয়ায় তার ডিমান্ড ছিলো তুঙ্গে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতো সে। এ যাবৎকাল আমার সংসার করা কালীন সে বহু মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছে। এমনকি আমার সাথে তার পরিচয় গৃহ শিক্ষক হিসেবে এবং পরবর্তিতে বিয়ে হয় নানা জল্পনা কল্পনার মধ্য দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় মুখ বুঝে সহ্য করতাম আমার সন্তানের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু সে এটা রক্ষা করতে পারেনি। একের পর এক ছাত্রীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে যেত। তিনি পিস স্কুল এন্ড কলেজে থাকাকালীন ছবিটির মেয়ের সাথে সম্পর্ক শুরু করে ছিলো এবং যতটুকু খোজ পেয়েছি সে এখন এই মেয়ের সাথেই আছে। এই মেয়েটি তার ব্যক্তিগত ছাত্রী ছিলো তার বাসায় গিয়ে পড়াতো।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বামী মঈনুল হক এসব ঘটনা সবই মিথ্যা এবং তাকে হয়রানি করা হচ্ছে এবং স্ত্রীকে অনেক দিন আগে তালাক দিয়েছেন বলে দাবী করেন।