প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে! এমন জল্পনার খবরে সয়লাব নেটদুনিয়া। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীনা পিপলস আর্মির (পিএলএ) প্রধান পদ থেকে শি’কে সরানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এমনকি দেশটির রাজধানী বেইজিংও এখন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে অনেক চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী দাবি করেছেন। নিউজ হাইল্যান্ড ভিশন নামের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনাতাও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্টান্ডিং কমিটির সাবেক সদস্য সং পিংকে প্ররোচনা দিয়েছেন এবং তিনি দেশটির সেন্ট্রাল গার্ড ব্যুরোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গ্রেপ্তার কিংবা গৃহবন্দী করে রাখার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট ও স্বল্প পরিচিত অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের এই খবরকে ‘গুজব’ বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ অক্টোবর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেসের মাধ্যমে তিনি তৃতীয় মেয়াদে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই কংগ্রেসের আগে পার্টির ভিন্ন মতাবলম্বী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন শি জিনপিং।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গ্রেপ্তার এবং গৃহবন্দী করার ব্যাপারে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের ওয়েবসাইটেও কোনও সংবাদ পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ ধরনের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
তার মানে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দী করার খবরটি ‘গুজব’ এবং ‘অতিরঞ্জিত’।
শি জিন পিংকে আজীবন সম্মাননা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। আগামী ১৬ অক্টোবর তাকে চীনের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেবে চীনের জাতীয় সংসদ। এর ফলে শি জিন পিং চাইলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন।