প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৫
চট্টগ্রাম : ভাসমান জাহাজে ভোগ্যপণ্য মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রামের বহিনোঙরে পরিচালিত অভিযানে ছয়টি জাহাজকে ৭০০০ টন গম নিয়ে ১৫ দিন ধরে অবস্হান করতে দেখা যায়। নির্দেশনা উপেক্ষা করায় এ সময় আরও কয়েকটি জাহাজকে জরিমানা করা হয়।
বাজারে যাতে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয় এবং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাদ্যপণ্য বোঝাই লাইটার জাহাজকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর জলসীমা ত্যাগের নির্দেশনা জারি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর গন্তব্যে না গিয়ে লাইটার জাহাজকে ভাসমান গোদাম হিসেবে ব্যবহার করে, যার প্রমাণও মেলে চট্টগ্রাম বন্দরের এই অভিযানে। মালামালের কৃত্রিম সংকটের কারসাজিতে চড়া দামে নিত্যপণ্যের বাজার প্রায়ই হয়ে ওঠে অস্থির।
অভিযানে দেখা যায় নির্ধারিত তিন দিনের পরিবর্তে গাজীপুর লজিস্টিকস এন্ড শিপিং এর মালিকানাধীন উম্মে কুলসুম নামে ছয়টি জাহাজ অতিরিক্ত ১২ দিন অবস্থান করছে যাতে আছে প্রায় ৭০০০ টন গম।অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা দেন নানা অজুহাত।
মালামাল বন্দর থেকে নেয়ার পরেও এখানে ১৫ দিন ধরে বসে থাকা মূল্য বাড়ানোর একটা অশুভ প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন অভিযানে অংশ নেওয়া নির্বাহী মেজিস্ট্রেট। জাহাজের কাগজপত্র চেক করে তার মধ্যে কিছু এনিমালি পাওয়া গেছে যেগুলোর আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছা্ড়াও নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাগরে অবস্থান করায় ছয় জাহাজের পাশাপাশি লাইসেন্স, ফিটনেস ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় আরও কয়েকটি জাহাজকে জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে ১১৫০ টন পাথর বোঝাই জাহাজ গুলশানাড়ার অতিরিক্ত সময় থাকার চেষ্টা এবং বসুন্ধরা-২৭ জাহাজে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম অকেজ থাকার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমান আদালত।
বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে পণ্যের প্রাপ্যতা এবং ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন অভিযানে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।