প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২
গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একজন পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বাসটি চট্টগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলায় যাচ্ছিল।
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিদার পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চন্দ্রদিঘলিয়ার রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ঘটনাস্থলেই এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হন। পরে আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অপর একজন মারা যান। নিহত পুলিশ সদস্য হলেন আব্দুল আলিম (৩০)। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটনে কর্মরত ছিলেন। গোপালগঞ্জে তিনি ভিআইপি ডিউটিতে এসেছিলেন। অপর জন বাগেরহাট সদরের জয়নাল আবেদিন (২২)। বাকি দু’জনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসীর উদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বাগেরহাটের মোংলার বেবি বেগম (৪০), হুমায়ূন কবীর (২২), আমিরুল ইসলাম (৩৪), বাগেরহাটের স্নেহা (৩২), আলি হোসেন, রফিক মোল্লা (৩৪), খুলনার কয়রার শরিফুল (২৪), মনিরুল ইসলাম (২৫), গোপাগঞ্জের বরকত (৪০) ও শামিম (৩৬)।
সদর থানার ওসি মো. নাসীর উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলাগামী দিদার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১৫ জন। গুরুতর আহত ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহত সবাই বাসের যাত্রী।
দুর্ঘটনাকবলিত দিদার পরিবহনের যাত্রী খুলনার কয়রা উপজেলার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে চালক যেভাবে বাস চালচ্ছিলেন, তখনই মনে হয়েছিল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা ভেবেছি তা–ই হলো।’ ঘটনার সময় তিনি শুধু বিকট একটি আওয়াজ পেয়েছেন। তাকিয়ে দেখেন বাসের সামনের কয়েকটা আসন ভেঙে দুমড়েমুচড়ে গেছে। তখন দেখেন তাঁর বন্ধু শরিফুল একটি আসনের চাপায় পড়ে আছেন। ওই আসন ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে অন্য ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন এই যাত্রী।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যে রোগী আসছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।