২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ৯:৩৪

খুলনা মহানগরীতে ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের মানববন্ধন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক:
সন্ত্রাস বিরোধী কালো আইনসহ অন্যান্য আইনে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন, খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বিভাগীয় সমন্বয়ক আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ কারামুক্ত হলেও নিরীহ, নিরপরাধ ও মাজলুম উলামা ও জনতা এখনো কারাগারে আবদ্ধ রয়েছেন। মুক্তির ক্ষেত্রে চলছে বৈষম্য। অনতিবিলম্বে এ সকল কারাবন্দীদেরকে মুক্তি দিতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা সরকারকে চাপে ফেলতে কোনো অন্যায় দাবি করছি না। লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ের আকুতিগুলো সরকারের সামনে তুলে ধরছি। দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে, আওয়ামী দুঃশাসনে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী আইন-২০০৯’ নামক আইনে এবং অন্যায় ভাবে আটককৃত সকল নিরপরাধ মাজলুম কারাবন্দীদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। আদালত কর্তৃক জামিন ও বিচারের ক্ষেত্রে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্দীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন আচরণ করতে হবে, ‘সন্ত্রাস-বিরোধী আইন ২০০৯’ নামক কালো আইন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে, আওয়ামী সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো অপরাধীকে গুম অথবা ক্রসফায়ার দেয়া যাবেনা। আদালতের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। বিগত দিনে যারা গুম ও ক্রসফায়ারের সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে। দেশের সকল গুমখানা বা আয়নাঘরগুলো খুঁজে বের করে প্রকাশ্যে আনতে হবে। তাছাড়া হাসিনা সরকার পতনের পরদিন সকালে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা কর্তৃক যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে সে জন্য তাকেও সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন থেকে নিয়ে ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদেরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে এবং কারাগারের সকল বন্দীদের জন্য বৈষম্যহীনভাবে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স, মেক্সিকো, জার্মানি প্রভৃতি দেশের মতো বন্দিদশায় প্রত্যেক বন্দীকে মাসে অন্তত একবার হলেও তার স্ত্রীর সাথে কমপক্ষে তিন ঘন্টা একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন, খুলনার নেতা দেলোয়ার হোসেন ইউসুফী, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ তুহিন, শরিফুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল প্রমুখ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন