২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ১১:৩০

খুলনা বিমান বন্দর প্রকল্প স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পুণঃ চালুর দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

খুলনা বিমান বন্দর প্রকল্প স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পুণঃ চালুর দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তা বলেন, এতদঞ্চলের মানুষের ন্যায়সংগত চাহিদাকে তুলে ধরতে ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়াই এই সংগঠনের কাজ।
বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সামাজিক নানা সূচকে বাংলাদেশ এখন উল্লেখযোগ্য নাম। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের অদম্য আকাঙ্খা, প্রাণশক্তি আর ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের কারণে বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় এখন বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের অভিযাত্রায় খুলনাঞ্চল এখন শক্তিশালী অভিযাত্রী।
এ অভিযাত্রায় খুলনা আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি খুলনার সম্ভাবনা গুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়। এ খুলনা প্রাকৃতিক এবং ভু-রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্রপথে ভারত, নেপাল, ভূটানের সাথে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে। একারণে খুলনায় বিমান বন্দর অপরিহার্য। খুলনার দীর্ঘদিনের দাবী বিমান বন্দরটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খুলনার মানুষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হলে ইতিপূর্বে ১০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহন এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়া বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে এবং অধিগ্রহন করা জমি অনাবাদি ও অব্যহৃত থাকবে। একারণে বিমান বন্দরটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ অঞ্চলে মোংলা সমুদ্র বন্দর, ইপিজেড ও সুন্দরবন অবস্থিত যে কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিমান বন্দর থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই বিমান বন্দরটি (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারি অর্থায়নে পরপর দুই বাজেটে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে ২০২৫ সালে ব্যবহার উপযোগী করার দাবী জানান। সর্বশেষ ৫৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের অনেক টাকা এখানে ব্যয় হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টির জন্য আগামী ৩০ মার্চ ২০২৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এ সময় সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন