২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১০:৪৭

খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ কেন, জানেন না বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২

  • শেয়ার করুন

সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান বলেছেন, খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ কিছু তারা জানেন না।

খুলনা অঞ্চলে ‘পরিবহন ধর্মঘটে’ জনভোগান্তির মধ্যে শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের এমন বক্তব্য আসে।

তিনি বলেন, “মালিক শ্রমিকেরা যে ধর্মঘট করে, তারা তো আমাদের বলে-কয়ে করে না। কখন করে না করে সেটা তো আমি জানি না। এই ধরনের কোনো বিষয় যখন আমাদের নজরে আসে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিই।”

শনিবার ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে বিআরটিএ এর কর্মসূচি জানাতে এদিন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নূর মোহাম্মদ।

একজন সাংবাদিক তাকে বলেন, “যেখানেই সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল সমাবেশের ডাক দিচ্ছে, সেখানেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন, তারা তো জিম্মি হয়ে যাচ্ছেন। এটা কী নাগরিক অধিকার পরিপন্থি নয়? ময়মনসিংহে একই অবস্থা ছিল, এখন খুলনার মানুষ এই ভোগান্তিতে পড়েছে। এক্ষেত্রে কী বিআরটিএর কোনো ভূমিকা নেই?”

এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে দৃশ্যত কিছুটা বিব্রত বিআরটিএর চেয়ারম্যান পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনার প্রশ্নটা কি এখানে প্রাসঙ্গিক?”

জবাবে প্রশ্নকারী সাংবাদিক বলেন, “অবশ্যই, গণপরিবহন সচল রাখা আপনাদের দায়িত্ব। মালিকারা ইচ্ছে করলেই তো এমন করতে পারে না।”

বিআরটিএর চেয়ারম্যান তখন বলেন, “অফিসিয়ালি আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। কেননা কেউ এ বিষয়ে কোনো দাবি-দাওয়া আমাদের কাছে প্লেস করে নাই বা অভিযোগ দেয়নি। আমরা এ ব্যাপারে জানি না।”

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভাড়া নির্ধারণ বা অন্য বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসনে বিআরটিএকে মধ্যস্থতা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে। বিআরটিএর কার্যালয়েই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে সভা করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে অতীতে। তবে এবার খুলনার গাড়ি চলাচল নিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেল।

খুলনা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করার ঘোষণা রয়েছে বিএনপির। এই কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে আন্তঃজেলা বাস বন্ধ রেখেছেন খুলনার বাস মালিক-শ্রমিকরা। শনিবারও তাদের ‘ধর্মঘট’ চলবে।

এদিকে বাস ও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শুক্রবার বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থীরা। বাস বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইকে করে ও হেঁটে তাদের কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

বিএনপির অভিযোগ, তাদের বিভাগীয় সমাবেশকে ‘ব্যাহত করতে সরকারের চাপের মুখে’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তখন ময়মনসিংহের সঙ্গে বাস ও ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন