২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ৬:২৫

খুলনার মশিয়ালীতে গুলি করে তিনজনকে হত্যার প্রধান আসামি জাফরিন গ্রেফতার

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনার মশিয়ালী এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিনকে আটক করেছে খুলনার গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। জাফরিন মশিয়ালীতে তিনজনকে নিশংস ভাবে গুলি করে হত্যার প্রধান আসামি। সে জাকারিয়ার অন্যতম সহযোগী ও আপন ভাই।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির জাফরিনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানাগেছে, রমজান মাসে মশিয়ালী গ্রামের তুহিনের সাথে জাফরিন নামক এক ব্যক্তির দ্বন্দ হয়। এর জের ধরে ঈদুল ফিতরের দিন জাফরিনদের সাথে গ্রামবাসী মুখোমুখি অবস্থান করে। তখন পুলিশের হস্থক্ষেপে উভয় পক্ষ পিছু হেটে যায়। ঐ ঘটনার সুত্র ধরে কয়েক দফা গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জাফরিনদের হামলার স্বীকার হয়। এতে জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন তিন ভাই ও তাদের সমর্থকদের সাথে গ্রামবাসীর শত্রুতা সৃষ্টি হয়।

গত বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী থানা পুলিশ আলিম জুট মিলের শ্রমিক মুজিবর শেখ(৪৫)কে গোলাবারুদসহ আটক করে। এ খবর পেয়ে ওই জুটি মিল শ্রমিক মুজিবরের স্বজন ও গ্রামের কয়েকজন তাকে ছাড়াতে যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তারা রাত ৮টায় মশিয়ালীর হাড়াতলার মোড়ে আসলে তিন সহোদর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন, তাদের চাচাতো ভাই জিহাদ, সহযোগি আলমগীর, জাহাঙ্গীর, আরিফ, আজিমসহ ১০/১২জনের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গোলাবারুদ ও ককটেল বোমা ব্যবহার করা হয়।

এ সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৪৫) ও একই এলাকার মো. ইউনুস আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মো. সাইদুল শেখের ছেলে মো. সাইফুল ইসলামকে (২৭) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেকে) নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়- খানজাহান আলী থানাম গ্রামের মৃত শফিউল্লাহ শেখের ছেলে আফসার শেখ (৬৫), রজব আলী শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (২৬), নজরুল শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (৩৫), মৃত আলকাস শেখের ছেলে রানা শেখ (২২), আফসার শেখের ছেলে রবি শেখ (৪০), আকরাম শেখের ছেলে শামীম শেখ (২৫) ও মো. সাইদুল শেখের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৭)।

তাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ উত্তেজিত গ্রামবাসী জাকারিয়া, জাফরিন, মিল্টনের বাড়ী, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং জিহাদ,জাহাঙ্গীর, সাগর ও রাজুর বাড়ীসহ মোট ১১ টি স্থানে ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ (৩০) গ্রামবাসীর হামলায় নিহত হন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন