প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
মাছ ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩ কিশোর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে তাদের মোংলা ও নিরালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হান্নান আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা তাদের যশোর কারাগারে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। আসামিরা হলেন লবনচরা গ্রীনভিউ আবাসিক এলাকার গোলাম আকবরের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোলাইমানের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম ওরফে এলএক্স কাটার ওরফে নিরব (১৭), শেখপাড়া এলাকার ফরিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুলাহ (১৬) ও ৩নং কাশেম সড়কের তানভীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া টুটুল হাওলাদারের ছেলে সজীব ওরফে আশিক ওরফে জার্বি (১৭)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হান্নান বলেন, নিহত ইয়াছিনের সাথে আসামিদের পূর্বের দ্ব›দ্ব ছিল। সেই দ্ব›েদ্বর জের ধরে শুক্রবার সকালে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা করে তারা স্বাভাবিক ভাবে যে যার মতো পালিয়ে যায়। রাতে নিরালা থেকে আব্দুলাহ ও সজীবকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিমকে মোংলা থেকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, মামলার অপর আসামি সাকিবকে গ্রেফতার করতে পারলে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য বের হয়ে যাবে। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা কিশোর হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা যায়নি। হত্যাকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিদের একজনের কাছে ১শ’ টাকা পাইত ইয়াছিন। সেটা চাওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন করে। হত্যাকান্ডের স্থান থেকে তারা একটি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে। সেটি আসামি সাকিবের বলে গ্রেফতার হওয়া তিনজনই উলেখ করছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেরে বাংলা রোডস্থ ৩নং কাশেম সড়কের নুর মোহাম্মাদের দোকানের সামনে ইয়াছিন আরাফতকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা বাদী হয়ে খুলনা থানায় ১০ জনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-১৩)।