প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২০
খুলনায় সোমবার সকালে পাটকল শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) নিজেদের অবস্থান জানিয়ে রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিশেষ পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে পূর্ব ঘোষিত রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচী পালনের সময় যাত্রীবাহী পরিবহন ফেম নামক একটি চলন্ত বাসের বাম পাশের সামনের গ্লাস পাথর মেরে ভাংচুর, পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত এবং শ্রমিক ও শ্রমিক নের্তৃবৃন্দের থানা হেফাজতে গ্রহণ সংক্রান্ত:
সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ইস্টার্ণ ও আলিম জুট মিলের মধ্যবর্তী স্থলে খুলনা-যশোর মহাসড়কের ওপর পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ১৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে খুলনা পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের ৩০০/৩৫০ জন শ্রমিকের উপস্থিতিতে পূর্ব ঘোষিত রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্যে খুলনা-যশোর মহাসড়কে সমবেত হয়ে এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা খুলনা হতে ফরিদপুর গামী যাত্রীবাহী পরিবহণ ফেম নামক একটি চলন্ত বাসের বাম পাশের সামনের গ্লাস পাথর মেরে ভাংচুর করে এবং শ্রমিকরা বিভিন্ন দিক হতে খুলনা-যশোর মহাসড়কে চলমান যানবাহন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও রেল লাইনের পাথর মারতে থাকে। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পুলিশ ৭ রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে উত্তেজিত অবৈধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসার জন্য বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল হতে খানজাহান আলী থানা পুলিশ এই পর্যন্ত ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।