প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় রফিকুল ইসলাম ঢালী নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
তিনি বলেন, ২০১০ সাল যে ছেলে শিশুটি জন্ম লাভ করেছে এখন তার বয়স হয়েছে ১২ বছর।
সে এখন খুলনার একটি সরকারি স্কুলে পড়ে। এ রায়ের মাধ্যমে ওই সন্তান পিতৃ পরিচয় পেয়েছে। একযুগ পর ডিএনএ টেস্টে মিলল সন্তানের স্বীকৃতি। এটা তার জন্য বড় প্রাপ্তি। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আদালতের সূত্র জানায়, আসামি রফিকুল ও ভিকটিম মহানগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পরস্পর প্রতিবেশি। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টেবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে রফিকুল।
এতে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরে ভিকটিম রফিকুলকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোনাডঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।